আবুল হায়াত
দুরন্ত টিভির ঈদের বিশেষ ধারাবাহিক নাটক ‘হৈ হৈ হল্লা’ সিজন ২-তে সফদর ডাক্তার চরিত্রটির ভূমিকায় দেখা যাবে শিল্পী আবুল হায়াতকে, কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে …
দুরন্ত টিভির উৎসবের নাটক হৈ হৈ হল্লা-তে আপনার চরিত্রটির নাম- সফদার ডাক্তার। এটা কি সফদার ডাক্তার, মাথা ভরা টাক তার- সেই বিখ্যাত মজার কবিতার চরিত্রকে ভেবে করা?
কিছুটা তো নেওয়া হয়েছে অবশ্যই।
সফদার দাদু চরিত্রটি নিয়ে যদি একটু বিশদে বলতেন…
আসলে মানুষের বয়স যত বাড়ে তাদের কর্মগুলো, চিন্তাভাবনাগুলো তত পেছন দিকে চলে যেতে থাকে। সে রকম একটি ব্যক্তি সফদার দাদু। তার বয়স যত বেড়েছে, তার জীবনের একাকিত্ব ভুলে সে শিশুদের সঙ্গে মিশে একেবারে শিশু হয়ে যায়। শিশুদের সঙ্গে সে আনন্দে মেতে থাকে। সফদার দাদু চরিত্রটি আমি খুব এনজয় করেছি।
একসঙ্গে অনেক শিশুর সঙ্গে কাজ করার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
শিশুদের সঙ্গে যে ইন্টারঅ্যাকশন সেটাতে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি। ওরা যা করে তাতে কোনো ভণিতা নেই। শিশুরা জলের মতো স্বচ্ছ, ওরা যা বলে তা-ই বোঝায়। এ ছাড়া শিশুদের সঙ্গে আমার কাজের পূর্ব-অভিজ্ঞতাও আছে, সেই হিসেবে আমি খুব আনন্দ পেয়েছি।
হৈ হৈ হল্লা একটি বিশেষ ধারাবাহিক নাটক। যা বছরব্যাপী বিভিন্ন উৎসবে দুরন্ত টিভিতে প্রচার হবে। এ রকম আয়োজন সম্পর্কে আপনার মতামত জানতে চাই।
এই চিন্তাভাবনাটাই অসাধারণ। কারণ আমাদের দেশে এই ধরনের কাজের চর্চা হতে তেমন দেখা যায় না। যেটা আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে আমরা দেখি, তাদের সব অনুষ্ঠান তারা সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে করে। তাদের প্রতিটা ধারাবাহিকেও তারা সব উৎসবকে অন্তর্ভুক্ত করে, যেটা আমাদের দেশে হয় না। এ ক্ষেত্রে উৎসবকে কেন্দ্র করে দুরন্ত’র এই আয়োজনটা একটা সুন্দর চিন্তা।
শিশুদের সঙ্গে এই কাজটা করতে গিয়ে আপনার মজার কোনো অভিজ্ঞতার বিষয়ে শুনতে চাই।
বিশেষ কোনো মজার ঘটনা বলা মুশকিল। কারণ প্রতিদিনই কোনো না কোনো মজার অভিজ্ঞতা হতো। একবার একটা ভীতিকর ঘটনা ঘটেছিল, শট নেওয়ার সময় আমার মাথার ওপরে লাইটে আগুন লেগে গিয়েছিলো এবং সেখানে দেখলাম, বড়রা সবাই আমাকে যেভাবে আগলে রাখল, সেভাবে শিশুরাও দৌড়ে না পালিয়ে বরং আমাকে ঘিরে দাঁড়িয়ে ছিল। এই ঘটনায় আমার মনে হয়েছিল, এই কয়েক দিনে আমরা সবাই একটা পরিবারের অংশ হয়ে গেছি।