পুলিশের পাহারায় আল-আকসায় ঢুকছে ইহুদি বসতি স্থাপনকারীরা। ছবি : আলজাজিরা
পুলিশ পাহারায় পূর্ব জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে প্রবেশ করেছে বেশ কয়েকজন ইহুদি বসতি স্থাপনকারী। আজ বৃহস্পতিবার (৬ এপ্রিল) তারা ইসরায়েলের নিরাপত্তা বাহিনীর উপস্থিতিতে মসজিদে প্রবেশ করে।
এর আগে ফজরের নামাজের জন্য ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের মসজিদে প্রবেশে বাধা দেয় ইসরায়েলি পুলিশ। স্থানীয় গণমাধ্যম জানিয়েছে, মসজিদে প্রবেশে বাধা দেওয়ায় শত শত ফিলিস্তিনি আল-আকসার আশপাশে ফজরের নামাজ আদায় করেছেন।
এর কয়েক ঘণ্টা আগে মসজিদ প্রাঙ্গণে থাকা ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলের পুলিশ। পবিত্র রমজান মাস চলার মধ্যেই বুধবার (৫ এপ্রিল) টানা দ্বিতীয় রাতে এ হামলার ঘটনা ঘটে।
পবিত্র আল-আকসা মসজিদে মুসল্লিদের ওপর হামলার ঘটনায় অধিকৃত পশ্চিমতীরজুড়ে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে। ফিলিস্তিনের ওয়াফা নিউজ এজেন্সির খবর- ইসরায়েলি বাহিনী আল-আকসা প্রাঙ্গণে হামলার পর অধিকৃত পশ্চিম তীরে যে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, তাতে কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছে।
নাবলুসে ইসরায়েলি বাহিনীর বিষাক্ত গ্যাস হামলায় ১২ জন আহত হয়েছেন। তা ছাড়া উত্তরাঞ্চলীয় শহর হেবরনের কাছে বেইট উমমার শহরেও হামলা চালানো হয়েছে। সেখানেও বহু ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন বলে খবর পাওয়া গেছে। এদিকে জেনিন ও বেথেলহেম শহরের কাছে ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হচ্ছে বলেও জানানো হয়েছে।
এর আগে পূর্ব জেরুজালেমে অবস্থিত আল-আকসা মসজিদে ফিলিস্তিনি মুসল্লিদের ওপর হামলা চালায় ইসরায়েলি পুলিশ। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার (৫ এপ্রিল) ভোরের আগে এই হামলা চালানো হয়। সে সময় কমপক্ষে ৪০০ ফিলিস্তিনিকে গ্রেপ্তার করা হয়। স্থানীয় কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, আটকদের ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনীর হেফাজতে রাখা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (০১ এপ্রিল) আল-আকসা মসজিদের প্রবেশপথের কাছে ফিলিস্তিনি এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে ইসরায়েলি বাহিনী। সে সময় প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইসরায়েলি বাহিনী ওই যুবককে অন্তত ১০ রাউন্ড গুলি করেছে।
সূত্র : আলজাজিরা