সর্বনাশা আগুনে সব ছাই

রাজধানীর বঙ্গবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই এবার নিউ মার্কেটসংলগ্ন নিউ সুপার মার্কেটে ঘটল ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। নিউ সুপার মার্কেটের তৃতীয় তলা থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। শনিবার ভোর অনুমান ৫টা ৪০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের খবর পায় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর। ফায়ার সার্ভিসের ৩০টি ইউনিট যৌথভাবে আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। ফায়ার সার্ভিসের ২২০ জন সদস্যের সাড়ে ৩ ঘণ্টা চেষ্টায় ৯টা ১০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে শনিবার দিনভর চেষ্টা চালিয়েও আগুন সম্পূর্ণভাবে নির্বাপণ করা সম্ভব হয়নি। আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে সেনা-নৌ-বিমানবাহিনী, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি), র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব), বিদ্যুৎ বিভাগ, ওয়াসাসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিভিন্ন ইউনিট। আগুন নেভাতে সহযোগিতা করেছেন বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরাও।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিভিন্ন সময়ে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে কিনা জানতে চাইলে শনিবার রাতে তিনি যুগান্তরকে বলেন, আজ (রোববার) এ নিয়ে সবার সঙ্গে বসব। এরপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, এসব ঘটনা নাশকতা কিনা, তা খতিয়ে দেখা হবে।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাগুলোতে গোয়েন্দাদের গাফিলতি ছিল না। এসব ভবন ঝুঁকিপূর্ণ ছিল। 

এর আগে ৪ এপ্রিল ভোরে রাজধানীর বঙ্গবাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। বঙ্গবাজারের ব্যবসায়ীরা যখন ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছেন ঠিক সেই সময়ে নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাকে স্বাভাবিক মনে করছেন না অনেকেই। ঈদের আগ মুহূর্তে ভয়াবহ এ আগুনের ঘটনায় নিঃস্ব হয়ে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগের রাতে যিনি ছিলেন কোটিপতি, সকালে তার সর্বস্ব কেড়ে নিয়েছে আগুন। সব হারিয়ে এখন বিলাপ করছেন তারা। শুধু দোকান মালিকরাই নন, স্বপ্ন শেষ হয়েছে মার্কেটের দোকান কর্মচারীদেরও। ঘটনার পর ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারিতে নিউমার্কেট এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দেখা গেছে ভেতর থেকে মালামাল বয়ে আনছেন।

এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি নাশকতা কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ভালো করে তদন্ত করে দেখার নির্দেশ দেন। পুলিশের আইজি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন জানিয়েছেন, সাম্প্রতিক অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরী স্কুল অ্যান্ড কলেজ মাঠে এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি বলেন, আমরা ইদানীং লক্ষ্য করছি রাজধানীর কয়েকটি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডের প্রতিটি ঘটনা বাংলাদেশ পুলিশ খতিয়ে দেখছে। এখানে যদি কোনো নাশকতার ঘটনা থাকে তাহলে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

নিউ সুপার মার্কেট বণিক সমিতির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক ইশতিয়াক আহমেদ বলেন, সকাল পৌনে ৬টার দিকে মার্কেটের নিরাপত্তারক্ষীদের কাছ থেকে আগুন লাগার খবর পান তারা। তিনি বলেন, ‘নিরাপত্তারক্ষীরা আমাদের জানিয়েছেন, ভোর ৪টার দিকে (সেহরির সময়) সিটি করপোরেশনের একদল লোক নিউ সুপার মার্কেটের পূর্ব পাশের সিঁড়ি বিনা নোটিশে ভাঙতে আসে। নিরাপত্তারক্ষীরা তাদের অনেকবার নিষেধ করেন। সমিতির নেতাদের সঙ্গে কথা বলতে বলেন। অন্তত আগে বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করে নিতে বলেন। কিন্তু সিটি করপোরেশনের লোকজন কারও কথা না শুনে সিঁড়ি ভাঙা শুরু করেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যেই হঠাৎ মার্কেটের নিচতলা ও তিনতলায় বিকট শব্দ হয় এবং ধোঁয়া বের হতে থাকে।

মার্কেট বণিক সমিতির সদস্য সচিব কাজী আবুল খায়েরও একই কথা জানান। তিনি মনে করেন, নিয়ম না মেনে, বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ না করে সিঁড়ি ভাঙার কারণে আগুন লাগতে পারে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত ব্যবসায়ীরা বলেন, গত রমজান মাসে ওই সিঁড়ি ঝুঁকিপূর্ণ বলে ব্যারিকেড দিয়ে রেখেছিল সিটি করপোরেশন। কিন্তু গত এক বছরেও তারা এ বিষয়ে কিছু করেনি।

এদিকে নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগাকে কেন্দ্র করে ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে’ বলে অভিযোগ করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। এক বিজ্ঞপ্তিতে সিটি করপোরেশন বলছে, ‘একটি স্বার্থান্বেষী মহল এ অগ্নিকাণ্ডকে নিউ মার্কেটের সঙ্গে সংযুক্ত পথচারী পারাপার সেতুর (ফুটওভার ব্রিজ) সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণের উদ্যোগের সঙ্গে সম্পর্কিত করার অপচেষ্টা করছে। গণমাধ্যমেও এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর ও অনাকাঙ্ক্ষিত সংবাদ প্রচারিত হচ্ছে; যা ডিএসসিসির দৃষ্টিগোচর হয়েছে।’ বিবৃতিতে বলা হয়, আগুনের সঙ্গে সিটি করপোরেশনের কাজের সম্পর্ক নেই। কারণ হিসাবে তারা বলেছে, নিউ মার্কেটসংলগ্ন একটি পথচারী পারাপার সেতুর সঙ্গে নিউ সুপার মার্কেটের সংযোগ দাপ্তরিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করেই বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। আগুন লাগার আধা ঘণ্টা আগেই তাদের কাজ শেষ হয়। 

অগ্নিকাণ্ডের পর শনিবার সকালে সরেজমিন ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, নিউ সুপার মার্কেটে এক হাজার ২০০ দোকান আছে। এসবের মধ্যে প্রায় ৬০০ দোকান পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আর বাকি দোকানগুলোর মালামাল নষ্ট হয় ফায়ার সার্ভিসের দেওয়া পানিতে। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ দগ্ধ না হলেও প্রচণ্ড ধোঁয়ায় অসুস্থ হয়েছেন অর্ধশতাধিক। আহতদের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীই বেশি। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, মার্কেটের সামনে থাকা সিটি করপোরেশনের একটি ফুটওভার ব্রিজ অপরিকল্পিতভাবে ভাঙা হচ্ছিল। সেখান থেকে বৈদ্যুতিক স্পার্ক হয়ে মার্কেটের তৃতীয় তলায় আগুন লাগে। তবে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, ফুটওভার ব্রিজ ভাঙার সঙ্গে মার্কেটে আগুন লাগার কোনো সম্পর্ক নেই। 

ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, শুক্রবার ছিল সাপ্তাহিক ছুটির দিন। তাই ঈদকে সামনে রেখে ওইদিন নিউ মার্কেটে ছিল উপচে পড়া ভিড়। ভিড় সামলাতে অনেক দোকানি রাত ৩টা-সাড়ে ৩টা পর্যন্ত দোকানে ছিলেন। দোকান বন্ধ করে বাসায় গিয়ে সেহরি খেয়ে নামাজ আদায় শেষে ঘুমিয়ে পড়েছিলেন। এরপরই তারা মোবাইল ফোনে আগুন লাগার খবর পান। তারা জানিয়েছেন, ভয়াবহ এ ঘটনায় অনেকেরই স্বপ্ন পুড়েছে আগুনে। 

এদিকে বারবার অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পেছনে কোনো নাশকতা আছে কিনা তা গোয়েন্দা সংস্থাকে খতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মাইন উদ্দিন। 

ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক জানিয়েছেন, বিষয়টি নাশকতা কিনা আমরা তদন্ত করে দেখছি। তিনি বলেন, একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটছে। এগুলো নিছক দুর্ঘটনা, নাকি এর পেছনে অন্য কোনো কারণ আছে তা খতিয়ে দেখা হবে। 

বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতির সভাপতি হেলাল উদ্দিন বলেছেন, বঙ্গবাজার এবং নিউমার্কেটের আগুন লাগার সময় একই। তবে আমি মনে করছি না এটা কোনো ষড়যন্ত্র। তারপরও তদন্ত কমিটি হবে, তদন্ত কমিটি রিপোর্ট দেবে। তিনি বলেন, (বঙ্গবাজারের আগুন নিয়ে) এর আগে তদন্ত কমিটি যে রিপোর্ট দিল তাতে আমরা দেখলাম মশার কয়েল বা সিগারেটের আগুন থেকে। এখন তদন্ত ছাড়া হঠাৎ কোনো কিছু বলা মুশকিল। হেলাল উদ্দিন বলেন, পরপর দুটি মার্কেটে আগুন লাগার ঘটনাকে আমরা মোটেও স্বাভাবিক মনে করছি না। ঈদের আগে বঙ্গবাজারের পর রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেটে আগুন লাগায় সারা দেশের ঈদবাজার শেষ হয়ে গেল। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ আগুনের ঘটনায় কী পরিমাণ ক্ষতি হয়েছে তা এখনই অনুমান করা সম্ভব নয়। 

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় অনেকের স্বপ্ন পুড়েছে আগুনে। আবার আগুন নেভাতে গিয়ে পানি ব্যবহারের ফলে স্বপ্ন পুড়েছে অনেকের। ফায়ার সার্ভিসকর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার পর ব্যবসায়ীরা মার্কেটের ভেতরে ঢুকে দেখেছেন সব শেষ। তবে অনেক কাপড় আগুনে পোড়েনি, পানিতে ভিজে নষ্ট হয়েছে। একাধিক ব্যবসায়ী বলেন, আগুন আমাদের স্বপ্ন সব শেষ করে দিয়েছে। তবে যেটুকু বাকি ছিল তা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে পানি ব্যবহারের ফলে তা নষ্ট হয়েছে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে দোকানে লাখ লাখ টাকার কাপড় উঠানো হয়েছিল। রাতেও ভালো রেখে গেলাম সকালে এসে দেখলাম সব শেষ। এখন কীভাবে ঘুরে দাঁড়াব সেটি বুঝতে পারছি না।

ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে আর্তনাদ করছিলেন নূপুর আক্তার নামের এক নারী। তিনি বলেন, আগুনে আমার ভাইয়ের সব শেষ, আমার ভাইয়ের কী হবে এখন? আমার ভাইয়ের তিনটা কাপড়ের দোকান ছিল। সব শেষ। ভাইয়ের মুখ থেকে এখন কোনো কথা বের হচ্ছে না। এই ক্ষতি কীভাবে পোষাবে?

কান্নাজড়িত কণ্ঠে নিউ সুপার মার্কেটের ব্যবসায়ী আবুল কালাম বলেন, ঈদের আগে এমনভাবে আগুন লাগবে, আর আমার সব শেষ হয়ে যাবে, তা কল্পনাও করিনি। বুঝতে পারিনি, আমাদের অবস্থা বঙ্গবাজারের দোকানিদের মতো হবে।

ডিএমপির উপকমিশনার ফারুক হোসেন বলেন, নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ডিএমপি অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের মালামাল, কাপড়-চোপড় নিজেরা কাঁধে বহন করে উদ্ধার তৎপরতায় অংশ নেয়। এছাড়া আশপাশ এলাকার যানজট নিয়ন্ত্রণে কাজ করে। উৎসুক জনতা যেন ভিড় করে ফায়ার সার্ভিসসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাজে ব্যাঘাত সৃষ্টি করতে না পারে সেজন্য নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করছে ডিএমপি।

ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (মিডিয়া) শাহজাহান শিকদার যুগান্তরকে বলেন, অগ্নি দুর্ঘটনায় ফায়ার সার্ভিসের অফিসার তিনজন, ফায়ার ফাইটার ২১ জন, ভলান্টিয়ার দুজন, আনসার সদস্য দুজন, একজন স্কাউট সদস্য এবং বিমানবাহিনীর একজন সার্জেন্টসহ ৩০ জন আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেল ও বার্ন ট্রিটমেন্টসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, নিউ সুপার মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ধোঁয়ায় অসুস্থ ও বিভিন্নভাবে আহত হয়ে আসা ব্যক্তিদের জরুরি বিভাগের মাধ্যমে চিকিৎসা চলছে।

বিজিবির জনসংযোগ কর্মকর্তা শরীফুল ইসলাম জানিয়েছেন, নিউমার্কেটের আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহায়তা, আশপাশের এলাকার পরিস্থিতি ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সরঞ্জামাদিসহ ১২ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়।

র‌্যাবের মিডিয়া অ্যান্ড লিগ্যাল উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, অগ্নিকাণ্ডের খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই র‌্যাব ফোর্সেস মহাপরিচালকের নির্দেশনায় র‌্যাবের ঢাকার ব্যাটালিয়নগুলো হতে টহল দল ও সাদা পোশাকে র‌্যাব সদস্যের দল অগ্নিকাণ্ডস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিসকে সহযোগিতা করে। 

ছবি ও ভিডিও ধারণের সময় সাংবাদিককে পুলিশের মারধর : রাজধানীর নিউ সুপার মার্কেট এলাকায় অগ্নিকাণ্ডের ছবি ও ভিডিও ধারণ করতে গিয়ে পুলিশের মারধরের শিকার হয়েছেন এক সাংবাদিক। শনিবার বেলা সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার সাংবাদিকের নাম রবিউল ইসলাম রুবেল। তিনি অনলাইন পোর্টাল সময়ের কণ্ঠস্বরে নিজস্ব প্রতিবেদক হিসাবে কর্মরত। ঘটনায় পুলিশ সদস্যদের মারধরের শিকার সাংবাদিক রবিউল ইসলাম রুবেল জানান, দূর থেকে দেখলাম একটা বক্স নিয়ে পুলিশ, ফায়ার সার্ভিসের সদস্য এবং দুজন লোক টানাটানি করছেন। তারা বক্সটি কেউ কাউকে দিতে চাচ্ছেন না। আমি পুরো ঘটনাটি আমার মোবাইলে ধারণ করছিলাম।

LEAVE A REPLY