সংগৃহীত ছবি
বাবর আজম নেতৃত্ব পাওয়ার পর থেকেই পাকিস্তানের ক্রিকেটাঙ্গনে তার বিরোধী পক্ষ দাঁড়িয়ে গিয়েছিল। সময়ের সাথে সাথে সেই বিরোধীপক্ষের শক্তি বেড়েছে। যাদের মধ্যে সিংহভাগই পাকিস্তানের সাবেক ক্রিকেটার। তারা বাবর আজমকে অধিনায়ক হিসেবে দেখতে চান না। এজন্য পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে (পিসিবি) থাকা সমমনাদের সঙ্গে নাকি তারা জোটও বেঁধেছেন! এমন অবস্থায় বাবরের পাশে দাঁড়ালেন আরেক সাবেক ক্রিকেটার রশিদ লতিফ। জানালেন, সাবেকদের সমস্যাটা কোথায়।
২০২১ সাল থেকে তিন সংস্করণে পাকিস্তান দলকে নেতৃত্ব দিয়ে যাচ্ছেন বাবর। তার অধীনে ১৮ টেস্টে ৮টি জয় এবং ৬টি পরাজয় দেখেছে পাকিস্তান। এছাড়া ২১ ওয়ানডেতে ১৩ জয় এবং ৬৮টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে পাকিস্তান জিতেছে ৪২টি! তাই কোনোভাবেই বাবরের নেতৃত্বকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কিন্তু রশিদ লতিফ সমস্যাটা দেখছেন অন্য জায়গায়। একটি ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, সমস্যা বাবর আজমের অধিনায়কত্ব নয়, বরং তার ক্ষমতা।’
অধিনায়ক হিসেবে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বেশি তিনটি সেঞ্চুরির মালিক বাবর আজম। আর সব মিলিয়ে স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাবরের সেঞ্চুরি এখন ৯টি। ক্রিস গেইলের ২২টি সেঞ্চুরির পরেই তার অবস্থান। এরপরও বাবরকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা প্রসঙ্গে রশিদ আরও বলেন, ‘মনে হচ্ছে, বাবরের সঙ্গে পাকিস্তানের কয়েকজন সাবেক তারকা ক্রিকেটারের উল্লেখযোগ্য ঝামেলা আছে। তাই তারা বাবরকে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার জন্য বোর্ডে নিজেদের সহযোগীদের একজোট করেছে!’
বাবরকে ঘিরে সমালোচনাগুলোর অন্যতম হলো টি-টোয়েন্টিতে তার স্ট্রাইকরেট। ব্যাট হাতেই এর জবাব দিয়েছেন বাবর। আর রশিদ লতিফও প্রশংসা করলেন বাবরের ব্যাটিংয়ের, ‘আমি বাবরের ব্যাটিং নিয়ে চিন্তা করার কিছু দেখি না। কারণ বলার মতো বেশি কিছু বাকি নেই, যা এখনো সামনে আসেনি। চোখের সামনে তাকে অসংখ্য সেঞ্চুরি করতে দেখেছি। সেঞ্চুরি করা বাবরের জন্য আমাদের কাছে কোনো অনুষ্ঠান কভার করার মতো নিয়মিত ঘটনা। যখন সে অবসর নেবে, নিঃসন্দেহে ইতিহাসের সেরা ক্রিকেটারদের একজন হিসেবে স্মরণীয় হয়ে থাকবে।’