ভারতের এই মন্দিরে দিনে জমা পড়ে ৫ কোটি রুপি, চুল ১ টন!

ভগবান ভেঙ্কটেশ্বরের মন্দিরে চমকে দেওয়া কাণ্ড ঘটেছে গতকাল ২২ এপ্রিল শনিবার। গত এক বছরের মধ্যে সবচেয়ে কম প্রণামি পড়েছে এই দিনই। কিন্তু কত কম? প্রণামির পরিমাণ ছিল দুই কোটি ৮৫ লাখ রুপি। তাতেই কর্তৃপক্ষের বিস্ময়, উদ্বেগ! এক বছরে এত কম প্রণামি জমা পড়েনি। হঠাৎ মন্দিরে দানের পরিমাণ কমল কেন?

ভারতের ধনীতম মন্দির হলো অন্ধ্রপ্রদেশের তিরুপতি শহরের তিরুমালা মন্দির। যা তিরুপতি মন্দির নামেই অধিক পরিচিত। লাখ লাখ ভক্তের প্রণামি দানে মন্দিরের তহবিল প্রতিদিনই ফুলে ফেঁপে ওঠে।

তিরুপতি মন্দিরে ভক্তদের দানকে বলা হয় ‘হুন্ডি’। এর জোরেই বিশ্বের সবচেয়ে ধনী মন্দির এটি। গত বছরের নভেম্বর মাসে তিরুমালা তিরুপতি দেবস্থানম ট্রাস্ট ঘোষণা করেছিল, দশ টনের বেশি সোনা এবং নগদ ১৫ হাজার ৯৩৮ কোটি রুপি ও সম্পত্তি রয়েছে এ মন্দিরের। প্রতিদিন গড়ে প্রণামি পড়ে চার থেকে ছয় কোটি রুপি। চলতি বছরের ২ জানুয়ারি যাবতীয় পুরনো রেকর্ড ভেঙে মন্দিরের এক দিনের আয় হয়েছিল সাত কোটি ছয় লাখ রুপি। এবার উল্টো রেকর্ডের সাক্ষী হলো মন্দির। গত কয়েক দিন ধরেই ‘হুন্ডি’ বা দানের পরিমাণ কমছিল। কমতে কমতে শনিবার তা দাঁড়ায় দুই কোটি ৮৫ লাখে।

মনে করা হচ্ছে, এর কারণ ভরা গ্রীষ্ম। তীব্র গরম চলছে অন্ধ্রপ্রদেশ, তেলেঙ্গানাসহ দক্ষিণের রাজ্যগুলোতে। গরমে কাহিল উত্তর ভারতের রাজ্যগুলোও। স্কুলগুলোতে গ্রীষ্মের ছুটি পড়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় তীর্থস্থানেও ভিড় কমছে। তবে মন্দিরের ট্রাস্টের দাবি, এপ্রিলের শেষ থেকেই ফের ভক্তদের সংখ্যা বাড়বে তীর্থস্থানে। দানের পরিমাণও সমান তালে বাড়বে।

এই মন্দিরে আরাধ্য দেবতার প্রতি ভক্তদের অসীম বিশ্বাস। তারা মনে করে, ভক্তিভরে যা চাওয়া যায় তাই পাওয়া যায়। আর মনোবাঞ্ছা পূরণের আশায় কিংবা পূরণ হওয়ার পর মানত পূরণে ভক্তরা সোনাসহ নানা মূল্যবান ধাতু, অর্থ ইত্যাদিতে মুড়ে দেন ঈশ্বরের বিগ্রহকে। আরাধ্য দেবতাকে মাথার চুলও দান করেন ভক্তরা। সেই চুল আন্তর্জাতিক বাজারে বিক্রি করে আসে বিশাল পরিমাণ আয়। প্রতিদিন চুলই জমা পড়ে এক টনের বেশি।

সূত্র : ভারতীয় গণমাধ্যম

LEAVE A REPLY