কারাগারে টয়লেটের পানি দিয়ে কফি, মুখ খুললেন বলিউড অভিনেত্রী

কারাগারে কাটানো ২৬ দিনের কষ্টের বিষয়ে মুখ খুলেছেন বলিউড অভিনেত্রী ক্রিসান পেরেইরা। বোরিভালির বাসিন্দার কাছে শারজার জেলে কাটানো দুঃসময়ের কথা এবং জেলবন্দি জীবনের দুর্বিসহ যন্ত্রণার কথা ভাইকে চিঠি লিখে জানিয়েছেন অভিনেত্রী। সেই চিঠিই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শেয়ার করেছেন অভিনেত্রীর ভাই। 

চিঠিতে ২৭ বছর বয়সি ক্রিসান লেখেন, জেলের মধ্যে ডিটারজেন্ট পাউডার দিয়ে চুল ধুতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। এমনকি টয়লেটের পানি দিয়ে কফি বানিয়ে খেয়েছেন।

ক্রিসান লিখেছেন, প্রিয় যোদ্ধারা, আমার তিন সপ্তাহ এবং পাঁচ দিন সময় লাগল জেলের মধ্যে একটা কাগজ এবং পেন খুঁজে পেতে। টয়লেটের পানি দিয়ে কফি বানিয়ে বলিউড ছবি দেখেছি। কখনো চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে পড়েছে, এটা ভেবে যে আমার উচ্চাকাঙ্ক্ষা আমায় এখানে এনে ফেলেছে। কখনো আমাদের সংস্কৃতি আমার মুখে হাসি ফুটিয়েছে, টিভিতে চেনামুখ দেখে ভালো লেগেছে। আমি ভারতীয় হিসাবে গর্বিত, ততটাই গর্বিত ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির অংশ হিসাবে।

পরিবার ও প্রিয়জনদের এই লড়াইয়ে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ জানান ক্রিসান। তার হয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় আওয়াজ তোলা সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন অভিনেত্রী। প্রকৃত অপরাধীরা গ্রেফতার হওয়ায় খুশি ক্রিসান। শেষে তিনি লেখেন, আমরা মহান, শক্তিশালী দেশ। দেশে ফিরতে তর সইছে না। আমার জীবনকে রক্ষা করার জন্য ধন্যবাদ। আমার মতো নিরপরাধী, যারা চক্রান্তের বলি হয়েছে, তারা যেন সুবিচার পায়, সবসময়।

এদিকে ক্রিসানকে ফাঁসানোর অভিযোগে অ্যান্টনি পল ও তার সহযোগী রাজেশ বাভোতে ওরফে রবিকে গ্রেফতার করে মুম্বাই পুলিশ। মঙ্গলবার মুম্বাইয়ের নগর দায়রা আদালতে তোলা হয় দুই অভিযুক্তকে। তাদের ২ মে পর্যন্ত পুলিশ হেফাজত মঞ্জুর করেছেন আদালত।

অভিনেত্রীর পরিবার এর আগে জানিয়েছিল, দুবাইতে ক্রিসানকে অডিশনে পাঠানোর নামে ফাঁসানো হয়েছিল। গোটা চক্রান্তের মাস্টারমাইন্ড ক্রিসানের অ্যাপার্টমেন্টের বাসিন্দা অ্য়ান্টনি পল। অভিনেত্রীর দুবাই উড়ে যাওয়ার সব ব্যবস্থা করেছিলেন অ্যান্টনি ও রবি। 

পুলিশ জানিয়েছে, লকডাউনের সময় ক্রিসানের মা প্রমিলার পোষা কুকুর অ্যান্টনি পলকে কামড়ানোর চেষ্টা করে, তখন তিনি রেগে গিয়ে কুকুরটিকে মারতে একটি চেয়ার তুলেছিলেন। যে ঘটনায় বিরক্ত প্রমিলা অ্যান্টনিকে সবার সামনে অপমান করেন। তারই প্রতিশোধ নিতে সম্ভবত অ্যান্টনি পল এমন কাজ করেছেন।

LEAVE A REPLY