অভিনেত্রী জিয়ার মৃত্যু, ১০ বছর পর খালাস পেলেন অভিনেতা

সূরজ পাঞ্চোলি ও প্রয়াত জিয়া খান

বলিউড অভিনেত্রী জিয়া খানের মৃত্যুতে তোলপাড় হয়েছিল বলিউড। ২০১৩ সালের এ ঘটনায় মামলা হয়। অভিনেত্রীকে আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেওয়ার অভিযোগ এনে অভিনেতা সূরজ পাঞ্চোলির বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আর সেই মামলায় দশ বছর পর বেকসুর খালাস পেলেন অভিনেতা সূরজ।

জানা গেছে, তথ্য-প্রমাণের অভাবে বেকসুর খালাস পেয়েছেন সূরজ। এর আগে প্রশ্ন উঠেছিল, অভিনেত্রীর আত্মহত্যার দায় আসলে কার? জিয়া খান কেন ক্যারিয়ারের শুরুতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে মরিয়া ছিল সবাই। 

মাত্র ২৫ বছর বয়সী অভিনেত্রীর ছয় পাতার সুইসাইড নোটের ভিত্তি অনুযায়ী অভিযুক্ত করা হয়েছিল সূরজকে। আর তাকে এ মামলায় মোট ৫৫৮টি প্রশ্ন করা হয়েছে জিজ্ঞাসা পর্বে।

২০১৩ সালের ৩ জুন জুহুর ফ্ল্যাট থেকে মরদেহ উদ্ধার করা হয় বলিউডের নয়া মুখ জিয়া খানের। তার মৃত্যু কেউই মেনে নিতে পারেনি। পরিবারের সদস্যরা বারবার দাবি করেছিলেন, তাদের মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারেন না। অভিযোগ ওঠে, প্ররোচনা ছাড়া কখনোই এমনটা হতে পারে না।

এ ছাড়া অভিনেত্রীর বাড়ি থেকে উদ্ধার করা ৬ পাতার সুইসাইড নোট নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছিল। তবে ২৮ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টায় মামলার চূড়ান্ত রায় ঘোষণা হয়। রায় ঘোষণার পর অভিযোগ থেকে মুক্তি পান সূরজ।

এর আগে ২৭ এপ্রিল থেকেই সবাই অপেক্ষায় ছিলেন যে অভিনেতা আদিত্য পাঞ্চোলি ও অভিনেত্রী জারিনা ওয়াহাবের ছেলে সূরজের কী হবে জিয়া খানের মৃত্যু মামলায়? অভিনেত্রীর পরিবারের অভিযোগই কি প্রমাণিত হবে? কিন্তু দীর্ঘ ১০ বছর পর সিবিআইর বিশেষ আদালত স্পষ্ট জানাল, কোনো প্ররোচণা দেওয়া হয়নি জিয়া খানকে।

LEAVE A REPLY