পরীক্ষায় নম্বর কম পাওয়ায় মিলল না ভাড়া বাসা

ভারতের বেশির ভাগ তথ্য-প্রযুক্তিপ্রতিষ্ঠানের প্রধান কার্যালয় দক্ষিণের রাজ্য কর্ণাটকের রাজধানী বেঙ্গালুরুতে। ভারতের ‘সিলিকন ভ্যালি’ হিসেবে পরিচিত এই শহর। সংগত কারণেই সেখানে কাজের জন্য বাস করা তথ্য-প্রযুক্তিবিদের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। শহরটিতে বাসাভাড়ার চাহিদাও সাম্প্রতিককালে কয়েক গুণ বেড়েছে।

বেঙ্গালুরুর অনেক ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিক সুযোগ বুঝে কার্যত ইচ্ছামতো বাসাভাড়া হাঁকছেন। জমা হিসেবে নেওয়া অগ্রিম অর্থের পরিমাণও চাইছেন আকাশছোঁয়া। এখানেই শেষ নয়, অতি চাহিদার কারণে ফ্ল্যাট বা বাড়ির মালিকরা ভাড়াটিয়ার বিস্তারিত তথ্য চাইছেন। চাওয়া হচ্ছে সহকর্মীদের সম্পর্কে তথ্যও। অনেক মালিকই সম্ভাব্য ভাড়াটিয়ার কাছে ‘লিংকড ইন’ প্রফাইল চাইছেন। অর্থাৎ রীতিমতো জীবনবৃত্তান্ত লিখতে হচ্ছে অনেককে।

ভাড়াটিয়ারা এমন সব বিপত্তির কথা কিছুদিন ধরেই জানাচ্ছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তবে সর্বশেষ যে ঘটনা টুইটারে ছড়িয়েছে তাতে থ মেরে গেছে নেটিজেনরা। একজনকে বাসা ভাড়া দেওয়া হয়নি দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ার কারণ দেখিয়ে। শুভ নামের এক টুইটার ব্যবহারকারী একটি হোয়াটসঅ্যাপ কথোপকথনের স্ক্রিনশট প্রচার করেছেন। সেখানেই দেখা যায়,  পরীক্ষায় কম নম্বর পাওয়ায় বাসা ভাড়া চেয়ে বিমুখ হওয়ার ঘটনাটি। শুভ জানান, তাঁর এক চাচাতো ভাইয়ের সঙ্গে এমনটি ঘটেছে।

স্ক্রিনশটে দেখা যায়, কথোপকথনের শুরুতে ভাড়াটিয়ার কাছে তাঁর লিংকড ইন প্রফাইল, চাকরির যোগদানপত্র, জাতীয় পরিচয়পত্র এবং দশম ও দ্বাদশ শ্রেণির নম্বরপত্র চেয়েছেন মধ্যস্থতাকারী। সেগুলো চাহিদামতো সরবরাহ করা হয়। এরপর মধ্যস্থতাকারী মেসেজে জানান, মালিক তাঁকে বাসা ভাড়া দেবেন না। কারণ দ্বাদশ শ্রেণিতে তিনি ৭৫ শতাংশ নম্বর পেয়েছেন। বাসার মালিক চান, ভাড়াটিয়া যেন অন্তত ৯০ শতাংশ নম্বরধারী হন।

স্থানীয় বাজার বিশ্লেষকরা বলেছেন, সম্পত্তির মূল্যের অনুপাতে ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাই থেকেও বেঙ্গালুরুর জমির মালিকরা বেশি ভাড়া নিচ্ছেন। সূত্র : এনডিটিভি

LEAVE A REPLY