অ্যাভিয়েশন খাতের উন্নয়নে যুক্তরাজ্যের সঙ্গে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ স্বাক্ষর

বাংলাদেশের বিমান চলাচল খাতের উন্নয়নে প্রয়োজনীয় সহযোগিতার জন্য একটি ‘অ্যাভিয়েশন পার্টনারশিপ’ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে বাংলাদেশ ও যুক্তরাজ্যের মধ্যে যৌথ কমিউনিক স্বাক্ষরিত হয়েছে। এর মধ্যে এয়ারবাস থেকে যাত্রী ও কার্গো বিমান ক্রয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। 

শুক্রবার লন্ডনে স্থানীয় একটি হোটেলে এ খাতে ‘অংশীদারত্বের’ বিষয়ে এ নিয়ে ‘যৌথ ঘোষণাপত্র’ সই হয়। এতে বাংলাদেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং যুক্তরাজ্যের পক্ষে যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগমন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন স্বাক্ষর করেন। চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জেল হোসেন মিয়া এবং বাংলাদেশে নিযুক্ত যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর বাণিজ্য দূত রোশনারা আলী এমপি উপস্থিত ছিলেন।  

এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিমানশিল্পের বিকাশের পাশাপাশি যুক্তরাজ্য এবং এয়ারবাসের অন্যান্য ইউরোপীয় অংশীদারদের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্পর্ক জোরদার হওয়ার কথা। এয়ারবাস থেকে বিমান কেনার জন্য বাংলাদেশ সহজ শর্তে ইউকে এক্সপোর্ট ফিন্যান্স স্কিম থেকে দীর্ঘমেয়াদি ঋণ সুবিধা পেতে পারে।

এতে সই করার পর সালমান এফ রহমান সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, এ উদ্যোগের ফলে এয়ারবাস ও বাংলাদেশ বিমানের মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি ও কার্যকর সম্পর্ক গড়ে উঠতে পারে, যার মাধ্যমে বাংলাদেশ, যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, জার্মানি এবং এয়ারবাসের মধ্যে বর্তমান সম্পর্ক ইইউকে আরো শক্তিশালী করবে। 

যুক্তরাজ্যের বিনিয়োগ মন্ত্রী লর্ড ডমিনিক জনসন এক টুইট বার্তায় বাংলাদেশের সঙ্গে বিমান চলাচল খাতকে জোরদার করতে যৌথভাবে কাজ করার প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, একটি কার্যকর বিমান চলাচল অংশীদারত্বের মাধ্যমে বাংলাদেশের বিমানশিল্পকে শক্তিশালী করা হবে এবং উভয় দেশেই নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে।

LEAVE A REPLY