বাবুল-ইলিয়াসের বিচার হবে সাইবার ট্রাইব্যুনালে

সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার ও সাংবাদিক ইলিয়াস হোসাইনসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে করা মামলাটি বিচারের জন্য সাইবার ট্রাইব্যুনালে বদলির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার (১১ মে) ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. আশেক ইমাম এই আদেশ দেন। এ মামলার পরবর্তী বিচার সাইবার ট্রাইব্যুনালে হবে।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধানমণ্ডি মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. রবিউল ইসলাম গত ৯ এপ্রিল অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় চার আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। আসামিরা হলেন- ইলিয়াস, বাবুল আক্তার ও তার ভাই মো. হাবিবুর রহমান লাবু এবং বাবা মো. আব্দুল ওয়াদুদ মিয়া। ইলিয়াস পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়েছে।

পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) প্রধান বনজ কুমার মজুমদার গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে ধানমণ্ডি থানায় মামলা করেন। 

এজাহারে পিবিআই প্রধান বলেন, আমার নেতৃত্বাধীন তদন্ত সংস্থা পিবিআইয়ে চাঞ্চল্যকর মাহমুদা খানম মিতু হত্যা মামলা তদন্তাধীন অবস্থায় সাবেক পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার প্রধান আসামি হিসেবে তদন্তে উঠে আসে। তদন্তকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। জেলহাজতে থাকা বাবুল আক্তার ও বিদেশে অবস্থানরত কথিত সাংবাদিক ইলিয়াসসহ বাকি আসামিরা মামলার তদন্ত ভিন্ন খাতে প্রবাহিত ও পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করতে ষড়যন্ত্র করেন। এরই ধারাবাহিকতায় বাবুল ও অন্য আসামিদের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ প্ররোচণায় ইলিয়াস হোসাইন ২০২২ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তার ফেসবুক আইডির মাধ্যমে ‘স্ত্রী খুন স্বামী জেলে খুনি পেয়েছে তদন্তের দায়িত্ব’ শিরোনামে একটি ডকুমেন্টারি ভিডিও ক্লিপ আপলোড করেন, যা সম্পর্কে ৪ সেপ্টেম্বরে আমি অবগত হই।

বনজ কুমার আরো উল্লেখ করেন, ভিডিওতে বিভিন্ন মিথ্যা ও ভিত্তিহীন তথ্যের মাধ্যমে মিতু হত্যা মামলাকে বিতর্কিত ও প্রশ্নবিদ্ধ করাসহ তদন্তকে ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা করা হয়। ভিডিওটি পর্যালোচনা করে দেখা যায় যে ইলিয়াস হোসাইন ভিডিওতে প্রচারিত বক্তব্যে দেশের ভাবমূর্তি ও দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্ট করার উসকানি দেন।

LEAVE A REPLY