গত ডিসেম্বর মাসে রাশিয়ার পতাকা লাগানো একটি জাহাজ সাউথ আফ্রিকার বন্দরে এসে দাঁড়ায়। তাতে অস্ত্র বোঝাই করে দেয় সাউথ আফ্রিকা। এরপর জাহাজটি রাশিয়ার দিকে রওনা হয়। এমনই অভিযোগ করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ওয়াশিংটনে সাউথ আফ্রিকার রাষ্ট্রদূতকে ডেকে এ বিষয়ে জানতে চেয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। সাউথ আফ্রিকা এখনো এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তদন্তের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধে সাউথ আফ্রিকা কোনো পক্ষ নেয়নি। বরং তারা মধ্যবর্তী অবস্থান নিয়েছে। কোনো পক্ষকেই ভোট দেয়নি। কিন্তু তারা গোপনে রাশিয়াকে সমর্থন করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে এবং সে কারণেই সম্পূর্ণ গোপনে তারা রাশিয়াকে অস্ত্র দিয়েছে বলে যুক্তরাষ্ট্রের অভিযোগ। যুক্তরাষ্ট্রের দাবি, গত ৬ থেকে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে সাউথ আফ্রিকার সবচেয়ে বড় নৌঘাঁটি সাইমন টাউনে রাশিয়ার পতাকা লাগানো একটি জাহাজ এসে দাঁড়ায়। অথচ জাহাজটির সেখানে দাঁড়ানোর কথা নয়। কারণ, রাশিয়ার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে। সাউথ আফ্রিকা ট্রাকে করে অস্ত্র নিয়ে গিয়ে ওই জাহাজে ভর্তি করেছে বলে যুক্তরাষ্ট্র নিশ্চিত।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি এক টেলিভিশন সাক্ষাৎকারে বলেছেন, কাউন্টার অফেনসিভ বা পাল্টা আক্রমণের পথে এখনই যাচ্ছে না ইউক্রেনের সেনা। তবে তার প্রস্তুতি চলছে। ইউক্রেনের যত জমি রাশিয়া দখল করে রেখেছে, তার পুরোটাই পুনর্দখল করা হবে বলে এদিন জানিয়েছেন জেলেনস্কি। কিন্তু এখনই পাল্টা আক্রমণে যাওয়া সম্ভব নয় বলে তার অভিমত। জেলেনস্কি জানিয়েছেন, আরো বেশ কিছু অস্ত্র প্রয়োজন, আর্মার্ড ভেহিকল প্রয়োজন। সেগুলো ছাড়া পাল্টা আক্রমণে গেলে প্রচুর সেনার মৃত্যু হবে, যা কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।
অন্য এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দিমিত্রি কুলেবাও একই কথা বলেছেন। তবে কুলেবা জানিয়েছেন, পাল্টা আক্রমণ হবেই। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা। এদিকে ইউক্রেনের অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, গত এক বছরে পশ্চিমা দেশগুলোর থেকে ১৬ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি অর্থ মিলেছে। পশ্চিমা দেশগুলো জানিয়েছে, প্রয়োজনে আরো সাহায্য করা হবে ইউক্রেনকে। পাশাপাশি রাশিয়াকে ফের যুদ্ধ বন্ধ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।