অফিসে শত কাজের চাপেও যেভাবে নিজেকে ভালো রাখবেন

কর্মক্ষেত্রে দীর্ঘ সময়ের ব্যস্ত সময়সূচি, অস্বাস্থ্যকর জীবনযাপন পদ্ধতি শরীরের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। আজকাল বেশিরভাগ অফিসেই দীর্ঘ সময় কম্পিউটার অথবা ল্যাপটপের সামনে বসে টানা কাজ করতে হয়। এই ধরনের কাজের অভ্যাস শরীরের জন্য ভালো নয়।  আবার কাজ ছেড়ে দেওয়াও কোনো সমাধান নয়। এরকম পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য ও কাজের মধ্যে সমন্বয় রাখতে কিছু কৌশল অনুসরণ করতে পারেন।

এর জন্য সবচেয়ে স্মার্ট এবং সহজ উপায় হল অফিসের সময়সূচির মধ্যে আপনার ফিটনেস পরিকল্পনাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করা। এতে অফিস চলাকালীন সময়ে নিজেকে ফিট রাখাটা সহজ হবে। কী করবেন-

সিঁড়ি ব্যবহার করুন : অফিসে ফিটনেস রুটিন শুরু করার আগে লিফটকে না এবং সিড়িঁকে হ্যা বলুন।  কর্মক্ষেত্রে নিজেকে ফিট রাখতে এই সহজ ও কার্যকর পদ্ধতি যুক্ত করে নিন। যারা পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করেন গন্তব্যের ঠিক আগের স্টপেজে নেমে হেঁটে অফিসে যেতে পারেন।

কাজের ফাঁকে বিরতি নিন
 : একটানা এক বা ২ ঘন্টা কাজ করার পর ছোট ছোট বিরতি নিন।  প্রয়োজনে ডেস্ক থেকে উঠে কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করুন। অফিসের অন্য প্রান্তে থাকা সহকর্মীর সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করে আসতে পারেন। তা না হলে অফিসের এক কর্ণারে হাত-পা প্রসারিত করে একটু ব্যায়াম করে আবার ডেস্কে ফিরে আসতে পারেন।

বসার ভঙ্গির দিকে লক্ষ্য রাখুন : একটানা কাজ করার পর কাঁধ এবং মেরুদণ্ডে ব্যথা নিয়ে অনেকেই অভিযোগ করেন। বেশিরভাগ সময় এটি ভুলভাবে বসে থাকার কারণে হয়। চেয়ারে বসার সময় নিজের দেহভঙ্গির দিকে খেয়াল রাখবেন, এটি আপনাকে অনেক শারীরিক সমস্যা থেকে বিরত রাখবে। চেয়ারে বসার সময় ঝুঁকে কাজ করবেন না। যতটা সম্ভব কাঁধ এবং মেরুদণ্ড সোজা রেখে কাজ করবেন।

দুপুরের খাবার নিয়ে আসুন: যতটা সম্ভব অফিসে বাড়ি থেকে দুপুরের খাবার নিয়ে আসুন। বাইরের ফাস্টফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। নিজেকে ফিট রাখার জন্য সর্বপ্রথম স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করা জরুরি। অফিসে কাজের ফাঁকে ফাঁকে অথবা বিকালের নাস্তায় ফল, বাদাম, ড্রাইফ্রুটস, ফ্যাট ছাড়া দই সাথে রাখতে পারেন। এর ফলে যখনই ক্ষুধা অনুভব করবেন তখনই এগুলি খেতে পারবেন। এতে আপনি স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে পারবেন এবং পেটও ভরবে।

পানি পান করুন : দিনে পর্যাপ্ত পানি পানের বিকল্প নেই। সুস্থ থাকতে দিনে ৩-৪ লিটার পানি পান করতে হবে। যদি এসির মধ্যেও থাকেন তাহলেও নিয়ম করে পানি পান করতে হবে। এতে আপনি সুস্থ, উজ্জীবিত থাকবেন । পাশাপাশি  ক্লান্তিভাবও দূর হবে। পানি শরীর থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়।

LEAVE A REPLY