‘প্রধানমন্ত্রী দেশে না ফিরলে মানুষের ভাগ্যের উন্নয়ন হতো না’

স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, দেশের অর্থনীতির প্রতিটি মানদণ্ডে বাংলাদেশের যে অগ্রগতি তা জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট পথনকশা অনুসরণ করার ফলে হয়েছে। ১৯৮১ সালে প্রধানমন্ত্রী যদি দেশে না ফিরতেন তবে বাংলার দুঃখী মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নের চাকা স্থবির হয়ে পড়ত। দেশ ও দশের জন্য কিছু করার সংকল্প নিয়েই তিনি দেশে ফিরেছিলেন।

আজ বুধবার আইডিইবি মিলনায়তনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদ আয়োজিত এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনকালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরে বলেন, ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতা গ্রহণ করে তখন গড় মাথাপিছু আয় ছিল ৭০০ মার্কিন ডলার, যা বর্তমানে ২,৮২৪ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতা থাকায় ১৭ কোটি মানুষের দেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। অথচ দীর্ঘ ২১ বছর সামরিক শাসনকালে এ দেশের অনেক মানুষকে অভুক্ত থাকতে হয়েছে, দারিদ্র্যের কশাঘাতে দিনযাপন করতে হয়েছে।

তাজুল ইসলাম বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার ফলে আজ দেশ শতভাগ বিদ্যুতায়ন সম্ভব হয়েছে। বিদ্যুতের নানা রকম সুফল আজ প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ ভোগ করছে। ইন্টারনেট সংযোগের ফলে ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়িত হওয়ায় গ্রামের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষও ফ্রিল্যান্সিংয়ের মাধ্যমে উপার্জন করতে পারছে।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী উল্লেখ করেন, বিএনপি শাসনামলে মোবাইলের একটি কম্পানির একচেটিয়া বাজার ছিল, যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অন্যান্য মোবাইল কম্পানির জন্য উন্মুক্ত করে দেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরে বাংলাদেশ সফলতার সাথে উন্নয়নশীল দেশের কাতারে উত্তীর্ণ হয়েছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, এ অর্জন এমনিতে আসেনি, সে জন্য প্রধানমন্ত্রী পুরো জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে এ লক্ষ‌্য অর্জন করেছেন।

এ সময় মন্ত্রী বলেন, ‘আগে ঋণের জন্য বিভিন্ন দাতা সংস্থার কাছে বাংলাদেশের ধরনা দেওয়া লাগত অথচ এখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সুদৃঢ় নেতৃত্বের ফলে বিভিন্ন উন্নয়ন সংস্থা আমাদের কাছে ঋণ নিয়ে আসে।’

আলোচনাসভায় মূল আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সভাপতিত্ব করেন বঙ্গবন্ধু ডিপ্লোমা প্রকৌশল পরিষদের সহসভাপতি সামছুর রহমান খান।

LEAVE A REPLY