অভ্যুত্থানের পর ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনেছে মিয়ানমার: জাতিসংঘ

‘নৃশংসতার জন্য দায়বদ্ধতার অপ্রতিরোধ্য প্রমাণ সত্ত্বেও’ অস্ত্র কেনা কমেনি মিয়ানমারের জান্তা সরকারের। ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে অভ্যুত্থানের এই দুই বছরে ১০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কিনেছে দেশটির সেনাবাহিনী। 

বুধবার নিউইয়র্কে জাাতিসংঘের সদর দপ্তরে প্রকাশিত এক বার্ষিক প্রতিবেদনে তুলে ধরা হয়েছে এই বিস্ফোরক তথ্য। 

এ সময় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে মিয়ানমারে নিযুক্ত সংস্থাটির মানবাধিকারবিষয়ক বিশেষ প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্রস বলেন, বেশিরভাগ অস্ত্রই রাশিয়া, চীন এবং সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি করেছে মিয়ানমার।

গত দুই বছরে মিয়ানমারে যাওয়া অস্ত্র ও অন্যান্য সরঞ্জামের নথি দেখিয়ে তিনি জানান, রাশিয়া মিয়ানমারকে ৪০ কোটি ৬০ লাখ ডলারের অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম দিয়েছে। চীন থেকে গেছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের পণ্য। সিঙ্গাপুর পাঠিয়েছে ২৫ কোটি ৪০ লাখ ডলারের অস্ত্র-সরঞ্জাম। ভারত পাঠিয়েছে ৫ কোটি ১০ লাখ ডলারের অস্ত্রশস্ত্র। আর থাইল্যান্ড মিয়ানমারের জান্তার কাছে বিক্রি করেছে ২ কোটি ৮০ লাখ ডলারের অস্ত্র। 


জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক প্রতিনিধি টম অ্যান্ড্র– আরও বলেন, নিশ্চিতভাবে সাড়ে ১২ হাজার অস্ত্র ও সামরিক সরঞ্জাম কেনা হয়েছে। মিয়ানমার সেনাবাহিনীর হাতেই শিপমেন্টগুলো পৌঁছেছে। সেই রেকর্ডও আমাদের কাছে আছে। এসব শিপমেন্টের ভিন্নতা ও পরিমাণ এক কথায় বিস্ময়কর। তালিকায় যুদ্ধবিমান থেকে ড্রোন, যোগাযোগ উপকরণ আর যুদ্ধজাহাজের সরঞ্জামও ছিল। এটা স্পষ্ট যে, সামরিক বাহিনীর হয়ে কাজ করেছে মিয়ানমারের প্রায় সব অস্ত্র ব্যবসায়ী। 

এতে আরও বলা হয়েছে, জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলো এখন মিয়ানমারের জেনারেলদের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। আর তাদের দমনে বিভিন্ন এলাকায় শক্ত অভিযান চালাচ্ছে সেনাবাহিনী। এতে দেশটিতে হতাহতের সংখ্যা বাড়ছে। বিরোধী মত দমন করার প্রচেষ্টায় সেনাবাহিনীকে মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করেছে জাতিসংঘ এবং মানবাধিকার সংগঠনগুলো। তারা বলেছে, কিছু ঘটনা যুদ্ধাপরাধ এবং মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের শামিল। আলজাজিরা, ইউএন নিউজ।

LEAVE A REPLY