ফাইল ছবি
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেছেন, ‘সামনে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত নানা চ্যালেঞ্জ আসতে পারে। আইন-শৃঙ্খলার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’
আজ বৃহস্পতিবার আইন-শৃঙ্খলা সংক্রান্ত এক আলোচনাসভায় তিনি এ কথা বলেন। রাজারবাগ পুলিশ লাইনসে পুলিশ অডিটরিয়ামে দুই দিনব্যাপী পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স কোয়ার্টারলি কনফারেন্সের শেষ দিনে সভাপতির বক্তব্য রাখেন তিনি।
পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশে আইজিপি বলেন, ‘আইন-শৃঙ্খলার যেকোনো চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার জন্য আমাদের প্রস্তুত থাকতে হবে। দেশকে অস্থিতিশীল করার যেকোনো ষড়যন্ত্র রুখে দিতে হবে।’ জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সেবা দেওয়ার জন্য স্বচ্ছতা ও জবাবদিহির সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশের প্রয়োজনীয় লজিস্টিকস, প্রশিক্ষণ এবং পুলিশ সদস্যদের দৃঢ মনোবল রয়েছে জানিয়ে আইজিপি বলেন, ‘নির্বাচনের সময় নির্বাচন কমিশনের অধীনে পুলিশ দায়িত্ব পালন করবে। দেশের আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় যা যা করা প্রয়োজন পুলিশ তাই করবে। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর যেকোনো চক্রান্ত নস্যাৎ করে দিতে প্রস্তুত আমরা।’
আইজিপি বলেন, গুজব ছড়িয়ে কেউ যেন দেশের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটাতে না পারে সে জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে। পাশাপাশি গুজব রোধে সাইবার মনিটরিং বাড়াতে হবে।
চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, “ফোর্সের ওয়েলফেয়ার নিশ্চিত করতে হবে। ফোর্সের ওয়েলফেয়ার দেখতে গিয়ে শৃঙ্খলার সঙ্গে আপস করা যাবে না। কোনো পুলিশ সদস্যের বিচ্যুত আচরণের দায় পুলিশ বহন করবে না। কোনো পুলিশ সদস্যদের দুর্নীতি, মাদকের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতা এবং নৈতিক স্খলনের বিরুদ্ধে আমাদের অবস্থাান ‘জিরো টলারেন্স’।”
কনফারেন্সে অতিরিক্ত আইজিপি (প্রশাসন) মো. কামরুল আহসান, ডিএমপি কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক, র্যাব মহাপরিচালক (ডিজি) এম খুরশীদ হোসেন, স্পেশাল ব্রাঞ্চের অতিরিক্ত আইজিপি মো. মনিরুল ইসলামসহ অতিরিক্ত আইজিপি, ঢাকার পুলিশের বিভিন্ন ইউনিটের প্রধান, সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলার পুলিশ সুপাররা উপস্থিত ছিলেন।