বন্য হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বিজিবি-বিএসএফ পতাকা বৈঠক

শেরপুরের শ্রীবরদী গারো পাহাড়ের সীমান্তঘেঁষা ঝুলগাঁও গ্রামে গত ১৪ এপ্রিল ভোরে সীমান্তের ওপার থেকে একদল বন্য হাতি এসে বোরো ধানক্ষেতে নেমে ফসল নষ্ট করছিল। ধানক্ষেত রক্ষায় এলাকাবাসী হাতি তাড়াতে লাঠি ও মশাল নিয়ে হাতির দলকে ধাওয়া দেয়। এ সময় ক্ষুব্ধ হাতির পায়ে পিষ্ট হয়ে ঝুলগাঁও গ্রামের কৃষক আবদুল করিম ঘটনাস্থলেই নিহত হন এবং খবির নামের আরেক কৃষক গুরুতর আহত হন। স্থানীয় লোকজন খবিরকে উদ্ধার করে জেলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন।

শুধু তারাই নন, কয়েক মাসে ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনা জেলার সীমান্ত এলাকায় হাতির আক্রমণে বেশ কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। এ অবস্থায় আজ বৃহস্পতিবার সীমান্তে বন্য হাতির আক্রমণ থেকে রক্ষা পেতে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিজিবি সদর দপ্তর থেকে জানানো হয়, ময়মনসিংহ সেক্টরের আওতাধীন তিনটি ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ এলাকায় (ময়মনসিংহ, শেরপুর, জামালপুর ও নেত্রকোনা) বৃহস্পতিবার ২৬টি স্থানে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এ ছাড়া বুধবার এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট এলাকার সাধারণ জনসাধারণকে সাথে নিয়ে সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করা হয়। পতাকা বৈঠকে ভারত থেকে আসা বন্য হাতির উপদ্রব বৃদ্ধি পাওয়া, বন্য হাতির আক্রমণে কয়েকজন বাংলাদেশি নাগরিক নিহত/আহত হওয়া, হাতি কর্তৃক ফসলি জমির পাকা ধান নষ্ট করা, জনবসতি এলাকায় প্রবেশ করে গাছপালা ও বাড়িঘরের ক্ষয়ক্ষতি সাধন করার বিষয়টি উত্থাপন করা হয়। তা প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ জানানো হয়। এ ব্যাপারে বিএসএফ কম্পানি/ক্যাম্প কমান্ডাররা যথাযথ কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন।

সরাইল রিজয়নের পরিচালক (অপস) ল্যাফটেন্যান্ট কর্নেল শফিউল আজম সিদ্দিকী কালের কণ্ঠকে বলেন, বিএসএফের সঙ্গে বৈঠকে তাদের (বিএসএফ) আমরা জানিয়েছি যে ভারত থেকে হাতি এখানে চলে আসছে। হাতির আক্রমণে হতাহতের ঘটনা ঘটছে। বন্য হাতি যাতে না আসে তার জন্য তারা যেন বন বিভাগসহ বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেন। বিএসএফ কর্মকর্তারা বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন।’

তিনি আরো বলেন, ‘আমরা ওই সব এলাকার সাধারণ মানুষকেও সচেতন করার জন্য সচেতনতামূলক সভার আয়োজন করছি।’ 

LEAVE A REPLY