ভয়াবহ ঝুঁকিতে পড়বে পশ্চিমারা: রাশিয়া

ইউক্রেনকে অত্যাধুনিক ‘এফ-১৬’ যুদ্ধবিমান সহায়তা দিলে পশ্চিমা দেশগুলোকে ‘ভয়াবহ ঝুঁকিতে’ পড়তে হবে বলে সতর্ক করেছে রাশিয়া। 

শনিবার এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে এ কথা বলেন রুশ উপ-পররাষ্ট্রমন্ত্রী আলেকজান্ডার গ্রুশকো। 

এদিনই আবার ‘পরমাণু অস্ত্রবিহীন’ বিশ্বের আহ্বান জানিয়েছেন জি-৭ নেতারা । রাশিয়া, ইরান, চীন এবং উত্তর কোরিয়ার প্রতি তারা পারমাণবিক সম্প্রসারণ বন্ধ করতে বলেছেন। একই সঙ্গে তারা এই দেশগুলোকে পরমাণু হ্রাস উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। 

জি-৭ নেতারা এক বিবৃতিতে বলেছেন, রাশিয়ার পারমাণবিক বাগ্মিতা এবং বেলারুশে পারমাণবিক অস্ত্র স্থাপনের অভিপ্রায় ‘বিপজ্জনক এবং অগ্রহণযোগ্য’। রাশিয়ার উচিত নিউ স্ট্যার্ট চুক্তি সম্পূর্ণ বাস্তবায়নে ফিরে আসা।

যুদ্ধের শুরুর দিনগুলোতে আর্থিক অনুদান আর যুদ্ধাস্ত্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ ছিল ইউক্রেন। তারপর দিন যায়, দীর্ঘ হয় যুদ্ধ। সেই সঙ্গে চাওয়া-পাওয়ার তালিকাও বড় হতে থাকে ইউক্রেনের। 

সাধারণ যুদ্ধাস্ত্রের চাহিদা শেষে চাইতে শরু করল ট্যাংক, অত্যাধুনিক পেট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা। একে একে পূরণও হয় সব। মার্কিন নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা মিত্রের কাছে দেশটির সর্বশেষ চাওয়া ছিল আকাশপথে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান। 

শুক্রবার বিশ্বের সাত ধনকুবেরের মিলনমেলা জাপানের হিরোশিমায় জি-৭ সম্মেলনে সেই আশাও পূরণ হলো ইউক্রেনের। তিন দিনব্যাপী সম্মেলনের প্রথম দিনের এক বৈঠকেই ইউক্রেনকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান সরবরাহের বার্তা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন।

এফ-১৬ যুদ্ধবিমান দেওয়ার বাইডেনের সিদ্ধান্তকে শনিবার স্বাগত জানিয়েছে ব্রিটেন, বেলজিয়াম, নেদারল্যান্ডস ও ডেনমার্ক। ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর পাইলটদের এফ-১৬ যুদ্ধবিমান চালানোর প্রশিক্ষণের বন্দোবস্ত করারও ঘোষণা করা হয়েছে।

LEAVE A REPLY