বসুন্ধরা গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির প্রধান উপদেষ্টা সায়েম সোবহান আনভীর বলেছেন, ইসলাম পবিত্র ধর্ম। ইসলাম শান্তি ও মানবতার ধর্ম। ইসলামের আদর্শ এবং পবিত্র কোরআনের বাণী বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে দিতে আমি আপ্রাণ চেষ্টা করব। শনিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি-বসুন্ধরায় দেশের বৃহৎ হিফজুল কোরআন প্রতিযোগিতা ‘কুরআনের নূর-পাওয়ার্ড বাই বসুন্ধরা গ্রুপ’-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে বক্তব্যকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণ ও ইসলামিক কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্য দেন সায়েম সোবহান আনভীর। হিফজুল কোরআনের এই প্রতিযোগিতাকে আগামীতে আন্তর্জাতিকীকরণের প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আগামীতে কোরআনের এই প্রতিযোগিতা আন্তর্জাতিকভাবে বাংলাদেশেই আয়োজন করা হবে। যেখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের হাফেজগণ অংশগ্রহণ করতে পারবেন।’
সায়েম সোবহান আনভীর আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ইসলাম মানেই শান্তি।
ইসলাম মানেই মানবতা। কাজেই আমি যত দিন বেঁচে থাকব, কোরআনের বাণীকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করব ইনশাআল্লাহ।’
বক্তব্যের শুরুতে তিনি পরম করুণাময় মহান আল্লাহতায়ালার প্রতি অশেষ শুকরিয়া জ্ঞাপন করেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে এ অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের বিশেষ ধন্যবাদ জানান।
তিনি বলেন, ‘ভারত এবং মিসর থেকে যেসব মেহমানরা কষ্ট করে আমাদের এই আয়োজনে এসেছেন, তাদের প্রতি আমার আন্তরিক কৃতজ্ঞতা। বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের খতিব, চারজন পেশ ইমাম, মুসল্লি কমিটির সদস্যসহ সকল ইসলামিক স্কলার ও বিচারকমণ্ডলীকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। বিখ্যাত হাটহাজারী মাদরাসার হজরতসহ সারা দেশের স্বনামধন্য মাদরাসার প্রধান এবং দেড় সহস্রাধিক ইমাম সাহেবকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি অনুষ্ঠানে উপস্থিত হওয়ার জন্য।’
.jpg)
খুদে হাফেজদের কথা আলাদা করে উচ্চারণ করেন সায়েম সোবহান আনভীর। তিনি বলেন, ‘আমাদের এই পুরো আয়োজনের বিশেষ আকর্ষণ খুদে হাফেজরা।
তাদের জন্য আমার এবং আমার পরিবারের পক্ষ থেকে প্রাণভরা দোয়া এবং ভালোবাসা রইল। আমি আশা করছি, এ ধরনের আয়োজনের মাধ্যমে আমাদের কোরআনে হাফেজগণ বিশ্বের দরবারে বাংলাদেশের মান আরো উঁচুতে নিয়ে যাবে। তারা নিজেরাও নতুন নতুন সাফল্য অর্জন করতে পারবে ইনশাআল্লাহ।’ শেষে তিনি নিজের জন্য দোয়া কামনা করেন।
বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির এই অনন্য আয়োজনে পৃষ্ঠপোষকতা করে দেশের শীর্ষ শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপ। পবিত্র রমজান মাসজুড়ে বেসরকারি টেলিভিশন নিউজটোয়েন্টিফোর চ্যানেলে হাফেজদের এ প্রতিযোগিতা সম্প্রচারিত হয়। প্রথমবারের মতো আয়োজিত এ প্রতিযোগিতায় প্রাথমিক অডিশনে সারা দেশের ১০ হাজারের বেশি হাফেজ অংশগ্রহণ করে। বিভিন্ন ধাপ পেরিয়ে চূড়ান্ত পর্বে বিজয়ী হয় আটজন। সমাপনী অনুষ্ঠানে তাদের নগদ অর্থ ও সনদপত্র দিয়ে পুরস্কৃত করা হয়।
