তাজিনের চলে যাওয়ার ৫ বছর

তাজিন আহমেদ

আজ ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের পঞ্চম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনে তিনি পৃথিবীর মায়া ছেড়ে চলে যান।

প্রয়াত ছোট পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদ ছিলেন বহু গুণের মানুষ। মিষ্টি হাসি আর প্রাণবন্ত অভিনয়ে তিনি মাতিয়ে রাখতেন টেলিভিশনের পর্দা।

অভিনেত্রী হিসেবে দেশের মানুষের কাছে পরিচিত হলেও তিনি সাংবাদিকতা ও উপস্থাপক হিসেবেও তার দক্ষতার পরিচয় রেখেছেন।

টিভি পর্দার এই জনপ্রিয় অভিনেত্রী তাজিন আহমেদের জন্ম নোয়াখালী জেলায়। কামাল আহমেদ এবং দিলারা জলির কন্যা তাজিন। তার ডাক নাম ছিল জল।

১৯৯২ সালে এইচএসসি পাস করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগে ভর্তি হোন। ছাত্রজীবন থেকেই সাংবাদিকতা করেন তিনি। ১৯৯৪ সালে ভোরের কাগজ ও ১৯৯৭ সালে প্রথম আলোতে স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে সাংবাদিকতা করেন। ১৩ বছর সাংবাদিকতা করেছেন তাজিন।

এক পর্যায় সাংবাদিকতা ছেড়ে যুক্ত হন কর্পোরেট জীবনে। মার্কেন্টাইল ব্যাংকে পাবলিক রিলেশন অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাজিনের মা দিলারা জলির প্রোডাকশন হাউজ ছিল। মায়ের কাজেও সাহায্য করেছেন তিনি। মায়ের হাত ধরেই অভিনয় জগতে প্রবেশ।

সাবলীল অভিনয়ের কারণে দ্রুত জায়গা করে নেন দর্শক হৃদয়ে।

ছোটপর্দার পাশাপাশি সরব ছিলেন মঞ্চে। কাজ করেছেন ‘নাট্যজন’ নাটক দলে। ২০০০ সালে ‘আরণ্যক’ নাট্যদলে যোগ দেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ‘আরণ্যক’-এর সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। রেডিও এবং টেলিভিশনে উপস্থাপনা করেছেন।

তাজিনের লেখা ও পরিচালনায় তৈরি হয় ‘যাতক’ ও ‘যোগফল’ নামে দুটি নাটক। তার লেখা উল্লেখযোগ্য নাটকগুলো হচ্ছে ‘বৃদ্ধাশ্রম’, ‘অণুর একদিন’, ‘এক আকাশের তারা’, ‘হুম’, ‘সম্পর্ক’ ইত্যাদি।

ছোট পর্দার পরিচালক এজাজ মুন্নাকে ভালোবেসে বিয়ে করেছিলেন তাজিন আহমেদ। তবে এই সংসার বেশিদিন টেকেনি। এর পরে তাজিন আহমেদ বিয়ে করেন এক মিউজিশিয়ানকে।

 ২০১৮ সালের ২২ মে দুপুর ১২টার দিকে উত্তরার বাসাতে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তাজিন আহমেদ। উত্তরা ১১ নম্বর সেক্টরের রিজেন্ট হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে কয়েক ঘণ্টা লাইফ সাপোর্টে থাকা অবস্থায় বিকাল চারটা ৩৫ মিনিটে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন বহু গুণের সমাহার এই টিভি অভিনেত্রী।

LEAVE A REPLY