ঈশ্বরদীতে ছাত্রলীগের পর এবার পুলিশ পেটাল যুবদল!

ছাত্রলীগের ওপর হামলার একদিন পর পাবনার ঈশ্বরদীতে এবার পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে যুবদল নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।

শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় ঈশ্বরদী রেলগেট ট্রাফিক পুলিশের ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় ওই রাতে যুবদলের ছয় নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ। 

এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঈশ্বরদীর মুনসিদপুর হাইওয়েতে পুলিশের ওপর হামলা করেন ছাত্রলীগের দুই নেতা।

শনিবারের ঘটনায় আটত ব্যক্তিরা হলেন—উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সোনা মনি, পৌর যুবদলের আহ্বায়ক জাকির জুয়েল, চয়ন, হাবিব, তরিকুল ও মামুন।

ঈশ্বরদী থানার হাসান বাসির ও ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর নজরুল ইসলাম জানান, রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদীর রেলগেট বন্ধ থাকায় পূর্ব ও পশ্চিম পাশে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় পশ্চিম দিকে বিমানবন্দর সড়ক দিয়ে আসা একটি হাইয়েস গাড়ি আড়াআড়িভাবে দাঁড় করালে যানবহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটে এবং যানজট বেড়ে যায়। 

এ সময় ট্রাফিক কনেস্টবল জাহিদ গাড়িটিকে সোজা করে রাখার জন্য বললে যুবদল নেতা সোনামনিসহ অন্যরা মারমুখী আচরণ করতে থাকে। এ ঘটনা বডি অন ক্যামেরায় রেকর্ড হচ্ছে বুঝতে পেরে ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে কনেস্টবল জাহিদ-১ ও টিএসআই জাহিদ-২কে মারধর শুরু করে। 

মারধরের মধ্যেই কনেস্টবল জাহিদ সোনামনিকে টেনেহিঁচড়ে থানায় নিয়ে আসেন। অন্যরা রেলগেট এলাকায় সোনামনি ও জাকির জুয়েলের বড়ভাই কারাগারে থাকা বিএনপি নেতা জাকারিয়া পিন্টুর অফিসে আশ্রয় নেন। তাৎক্ষণিক ঘটনা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানানো হলে থানা পুলিশ পিন্টুর অফিসের তালা ভেঙে ভেতর থেকে অন্যদের গ্রেফতার করে। তবে বডি অন ক্যামেরা উদ্ধার হয়নি।

LEAVE A REPLY