জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) এক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানি করা হয়। পরে গালিগালাজ করে প্রাণ নাশের হুমকি দেওয়ার অভিযোগে রাজধানীর পুরান ঢাকার স্থানীয় এক বখাটে যুবককে আটক করেছে পুলিশ। গতকাল রবিবার (৪ জুন)সন্ধ্যা সাড়ে সাতটায় পুরান ঢাকার পাতলা খান লেন সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাগরিবের নামাজের পরে ওই শিক্ষার্থী টিউশনি শেষ করে বাসায় ফেরার সময় শহিদুল ইসলাম (২৭) নামের ওই যুবক পেছন থেকে মুঠোফোনে ছাত্রীর আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করছিল।
বিষয়টি বুঝতে পেরে ওই শিক্ষার্থী প্রতিবাদ করলে তাকে খারাপ ভাষায় গালাগালি করা হয়। এক মুহুর্তে তাকে প্রাণনাশের হুমকিও দেয় ওই যুবক।
প্রত্যক্ষদর্শীরা আরো জানান, এক পর্যায়ে ওই বখাটে যুবক স্থানীয়দের ডেকে এনে ওই ছাত্রীর সঙ্গে তর্কাতর্কি শুরু করে। পরে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে অশোভন আচরণ করতে থাকে।
ওই মুহুর্তে ঘটনাস্থলের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় ঘটনাটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষক আতিয়ার রহমানের নজরে আসে। তখন তিনি ওই ছাত্রীর পরিচয় জানতে পেরে ওই শিক্ষার্থীর বাবা পরিচয় দিয়ে প্রতিবাদ করলে শিক্ষকের সাথেও অশোভন আচরণ করে তাকেও মারার হুমকি দেয় ওই যুবক।
এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে তাৎক্ষণিক জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সহকারী প্রক্টর এবং কয়েকজন শিক্ষক আসলে ওই যুবক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। তখন স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে ধরে সূত্রাপুর থানায় পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন স্টাডিজ বিভাগের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।
ঘটনার বিষয়ে সূত্রাপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক নাহিদুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, আমরা ওই যুবককে লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে আটক করে রেখেছি। আগামীকাল তাকে আদালতে চালান করা হবে। যেহেতু তার বিরুদ্ধে কোনো মামলা করেন নি ওই শিক্ষার্থী, তাই আদালতের মাধ্যমে পরবর্তী সুরাহা হবে।
এ বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোস্তফা কামাল বলেন, আমরা ঘটনাটির খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক একজন সরকারী প্রক্টরকে পাঠিয়েছি।
পরে বখাটে যুবককে আটক করে থানায় নেওয়া হয়েছে। ওই শিক্ষার্থী যদি মামলা বা যে অন্য কোনো আইনি প্রদক্ষেপ নিতে চায় আমরা সব ধরনের সহযোগিতায় তার পাশে থাকব।