রাতভর রুশ আক্রমণ, পাতাল রেলস্টেশনে আশ্রয় বেসামরিক মানুষদের

কিয়েভে সারা রাত একের পর এক বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে কিয়েভ রাশিয়ার হামলা প্রতিহত করেছে। বেসামরিক মানুষ ভূগর্ভস্থ সাবওয়ে স্টেশনে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়েছে।

কিয়েভের মেয়র জানিয়েছেন, রাজধানী ছাড়াও ইউক্রেনের অন্যান্য শহরে একইভাবে আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া।

বিমান হামলা ছাড়াও দূরপাল্লার রকেটও ছোড়া হয়েছে। তবে ইউক্রেন এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের সাহায্যে হামলা অনেকটাই প্রতিহ করতে পেরেছে। মঙ্গলবার ভোর পর্যন্ত আক্রমণ চলে বলে জানানো হয়েছে।

এদিকে সোমবার রাতে দেশের সেনাদের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেছিলেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি।

তিনি বলেছেন, সেনারা যেভাবে লড়াই করছে, তা এককথায় অভূতপূর্ব। একের পর এক দখল হয়ে যাওয়া জায়গা তারা পুনর্দখল করছে। প্রাণের বিনিময়ে তারা দেশের স্বাধীনতার জন্য লড়াই করছে। বাখমুত শহরটি তারা পুনর্দখল করতে পেরেছে।

বস্তুত এই বাখমুতে গত কয়েক মাস টানা লড়াই হয়েছে।

এর আগে শহরের দখল নিয়েছিল রুশ ভারাটে বাহিনী ওয়াগনার। ১ জুন রাশিয়ার সেনার হাতে এলাকা তুলে দিয়ে ফ্রন্টলাইন থেকে চলে যায় ওয়াগনার বাহিনী। জেলেনস্কির দাবি, সেই বাখমুত সোমবার ইউক্রেনের সেনারা পুনর্দখল করেছে।

এদিকে রাশিয়ার সেনারা সোমবার দাবি করেছে, ইউক্রেন সোমবার তাদের অঞ্চলে ঢুকে লড়াইয়ের চেষ্টা করেছিল।

কিন্তু রাশিয়া তা প্রতিহত করেছে। এতে ইউক্রেনের বিপুল পরিমাণ সেনা নিহত হয়েছে। তাদের ট্যাংকও ধ্বংস হয়েছে বলে দাবি করেছে রাশিয়া। যদিও ইউক্রেন এ কথা মানতে রাজি হয়নি। তবে ইউক্রেনের সেনা যে ফ্রন্ট লাইন থেকে সামনের দিকে এগোতে শুরু করেছে, তা মেনে নিয়েছেন জেলেনস্কি।

রাশিয়ার ডুমার সাবেক প্রতিনিধি এবং রাজনীতিক ইলাইয়া পোনোমারেভ এখন ইউক্রেনে বসবাস করেন। দ্য ফ্রিডম অব রাশিয়া লিজিয়ন মিলিশিয়া চালান তিনি। বেলগোরোদ অঞ্চলের রাজধানী শেবেকিনো এখন তাদের দখলে। তিনি জানিয়েছেন, এই লড়াইয়ে ইউক্রেনের সেনা তাদের পাশে ছিল না। তারা নিজেদের শক্তিতেই রাশিয়ার সঙ্গে লড়াই করে ওই অঞ্চল দখল করেছেন। সীমান্তবর্তী এলাকাটি এখন তাদের দখলে। পোনোমারেভের দাবি, তারা যে অস্ত্র ব্যবহার করেছে, তা অধিকাংশই রাশিয়ার। তবে মার্কিন অস্ত্র সামান্য কিছু আছে বলে স্বীকার করেছেন তিনি। ইউক্রেনের সেনা তাদের সাহায্য করছে না বলেই দাবি করেছেন এই রাজনীতিক।

LEAVE A REPLY