কাঁদলেন পরীমনি

পরীমনি

নানাকে নিজের কাছেই রাখতেন পরীমনি। তবে বিয়ের পর একসময় তার মনে হয়েছে—স্বামী চিত্রনায়ক শরিফুল রাজের যাতে কোনো সমস্যা না হয়, তাই নানাকেও বাড়িতে রেখে আসেন এই নায়িকা। আর এ কথা জানাতে গিয়েই কেঁদে ফেললেন পরীমনি। 

রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে তিন অভিনেত্রীর ব্যক্তিগত মুহূর্তের ভিডিও ফাঁসের ঘটনায় আলোচনায় এসেছে রাজ-পরীর দাম্পত্য সম্পর্ক এখন কোন পর্যায়ে।

 ইতিমধ্যে সংবাদমাধ্যমে এই তারকা দম্পতির পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে অনেকটাই পরিষ্কার যে বিয়েবিচ্ছেদের দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে তারা।

সর্বশেষ সোমবার রাতে এক সংবাদমাধ্যমের ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন পরীমনি। সেখানে রাজের অ্যাকাউন্ট থেকে ভিডিও ফাঁস ও নিজেদের সম্পর্ক নিয়ে নানা কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী। সংসার টিকিয়ে রাখতে তার পক্ষ থেকে যে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না তা অনেকটাই বলার চেষ্টা করেছেন তিনি।

আর তা জানাতে গিয়ে অনুষ্ঠানের এক পর্যায়ে পরীমনি বলেন, ‘বিয়ের পর নানুভাই বাসায় থাকাটাও…। আমার মনে হচ্ছিল রাজ এটা নিয়ে অনেক বেশি ডিস্টার্ব, কারণ আমাদের সেই বাসাটা শিফট করে ছোট বাসায় চলে গেছি। আমার মনে এটা হয়েছে, অনেক সময় মাঝরাতে ও অনেক সাউন্ড দিয়ে গান শুনতে চায়, যেটাতে আমার নানুর সমস্যা হয়। এখানে রাজকেও আমি কিছু বলতে পারি না, কারণ রাজের মুডটা ও রকম থাকে এবং নানুভাইকেও আমি কিছু বলতে পারি না।

তখন এই ব্যাপারটাই আমি চাচ্ছিলাম না, জয়েন্ট ফ্যামিলিতে কিছু কিছু প্রবলেম হয়, আর যেখানে নানুভাই সারা জীবন আমার সঙ্গে থেকে এসেছে সেখানে নানুভাইকেও আমার বাড়িতে শিফট করে দিয়েছি।’ 

ঠিক কথার এ পর্যায়ে ভীষণ আবেগপ্রবণ হয়ে কেঁদে ফেলেন অভিনেত্রী। কান্নারত পরীমনি বলেন, ‘আমার ফোকাস ছিল আমার ফ্যামিলিটা…। দেখেন কোনো কিছু হলে তো পরীকেই এখন দায়ভার নিতে হবে যে এই মেয়েটা আসলে সংসার করতে পারে না। আরো দশজন আসলে আমার ওপরেই আঙুলটা তুলবে যে এই মেয়েটারই প্রবলেম।

এইটা আমি যেভাবে বুঝি, আপনি যেভাবে বোঝেন, এটা রাজও খুব ভালোভাবে বুঝিয়েছিল।’

তিনি বলেন, ‘এ জন্যই এই ব্লেম গেমটা সারা জীবন আমার নিতে হবে বা এখন আমি নিচ্ছি। যেটার জন্য আমাকে খুব বাজেভাবে পেয়ে বসল, এটা একটা সূত্র হয়ে দাঁড়াল যে কোনো কিছু হলে এটা পরীরই দোষ হবে।’

LEAVE A REPLY