ইউক্রেনের বিরুদ্ধে আর যুদ্ধ করবে না ওয়াগনার বাহিনী

ইউক্রেনের বিরুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে আর লড়াই চালাবে না ওয়াগনার বাহিনী। 

মস্কোর বিরুদ্ধে বিদ্রোহের পরেই ওয়াগনার প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিনকে ক্রেমলিনের পক্ষ থেকে স্পষ্ট ভাষায় জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, ইউক্রেন সীমান্তে রুশ সেনাদের সাহায্য করার প্রয়োজন নেই। ইউক্রেনকে শায়েস্তা করতে রাশিয়ার সেনারা যথেষ্ট।

রাশিয়ার সেনাবাহিনীর সঙ্গে চুক্তি করতে অস্বীকার করায় ভাড়াটে সেনা হিসেবে পরিচিত ওয়াগনার বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে সম্পর্কচ্ছেদ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ কর্নেল জেনারেল আন্দ্রেই কার্তাপোলভ এ কথা জানিয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চুক্তিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের আওতায় আনার শর্ত দেওয়া হয়েছিল ওয়াগনার বাহিনীকে। 

গত শুক্রবার আচমকাই রুশ সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছিলেন ভাড়াটে সেনা হিসেবে পরিচিত ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান ইয়েভগেনি প্রিগোজিন। গত ফেব্রুয়ারি থেকেই ইউক্রেন সীমান্তে রাশিয়ার হয়ে লড়াই চালাচ্ছে ওয়াগনার বাহিনী। ইউক্রেন সীমান্ত ছেড়ে মস্কোর অভিমুখে রওনাও করেছিল প্রিগোজিনের নেতৃত্বাধীন বাহিনী। রোস্তভ অন ডন ও ভোরেনেজ শহরের দখলও নিয়েছিল। কিন্তু আচমকা বিদ্রোহে ইতি টানার ঘোষণা করেন প্রিগোজিন।

রুশ সেনার হাতে ধরা পড়লে শাস্তির ধড়-মুণ্ডু আশঙ্কায় তড়িঘড়ি করে রাশিয়া ছেড়ে বেলারুশে আশ্রয় নিয়েছেন ওয়াগনার বাহিনীর প্রধান। 

গত সোমবারই এক অডিও বার্তা প্রকাশ করে প্রিগোজিন জানান, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উ‍ৎখাত করার লক্ষ্যে বিদ্রোহ করা হয়নি। রুশ সামরিক বাহিনীর বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাদের অপেশাদার আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো লক্ষ্য ছিল। 

এদিকে বিদ্রোহ করা ওয়াগনার বাহিনীর ওপরে আর বিশ্বাস করা উচিত হবে না বলে সিদ্ধান্ত নেন রাশিয়ার উচ্চপদস্ত সেনা কর্মকর্তারা৷ 

LEAVE A REPLY