প্রতীকী ছবি
গাজীপুরের কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতর ফাঁস দিয়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি আত্মহত্যা করেছেন। আজ শনিবার (৮ জুলাই) ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
ফাঁস নিয়ে মারা যাওয়া আসামি আমিরুল ইসলাম প্রকাশ ওরফে রাশেদ উদ্দীন (৩৪) নোয়াখালীর হাতিয়া মধ্যমচেঙ্গা এলাকার নুরুল ইসলাম চৌকিদারের ছেলে।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলায় প্রথমে নোয়াখালী জেলা কারাগারে বন্দি ছিল আমিরুল ইসলাম।
পরে ২০১৪ সালে নোয়াখালী জেলা ও দায়রা জজ আদালত তার মৃত্যুদণ্ডের আদেশ দেন। এক পর্যায়ে ২০১৫ সালের ২১ আগস্ট তাকে অবস্থানের জন্য কাশিপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রে কারাগারে পাঠানো হয়।
আজ শনিবার ভোরে কারাগারের ভেতর বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে গলায় চাদর পেঁচিয়ে ফাঁস দেয় আমিরুল ইসলাম। এ সময় কারাকর্তৃপক্ষ তাকে গুরুতর অবস্থায় উদ্ধার করে প্রথমে কারা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
সেখান থেকে তাকে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে মৃত ঘোষণা করেন।
কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপার সুব্রত কুমার বালা জানান, আমিরুল ইসলাম নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের মামলায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ছিল। রাতে তার গায়ের চাদর ছিড়ে বাথরুমের ভেন্টিলেটরের সঙ্গে বেঁধে গলায় ফাঁস দেয়। পরে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আইনি প্রক্রিয়ার শেষে তার মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।