ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলা : আরো ৪ মাস স্থগিত খাদিজার জামিন

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুই মামলায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী খাদিজাতুল কুবরার জামিনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি মুলতবি (স্ট্যান্ডওভার) করেছেন আপিল বিভাগ। সে পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত থাকবে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ।

প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দেন। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম।

খাদিজার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি।

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুল আলম কালের কণ্ঠকে বেলন, ‘রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন গত মার্চে স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। সেদিন রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনটি চেম্বার আদালত আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে পাঠিয়ে দিয়েছিলেন। এর মধ্যে জামিন স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে খাদিজার পক্ষে দুটি আবেদন করা হয়।

আর রাষ্ট্রপক্ষও জামিন আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) করে। চারটি আবেদন একসঙ্গে শুনানির জন্য উঠলে সর্বোচ্চ আদালত শুনানি চার মাস মুলতবি করেন। সে পর্যন্ত তার জামিন স্থগিত থাকবে।’

আইনজীবী বি এম ইলিয়াস কচি কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘নারী, শিক্ষার্থী, অসুস্থতার যুক্তিতে হাইকোর্ট খাদিজাতে নিয়মিত অর্থাৎ মামলার বিচার পর্যন্ত জামিন দিয়েছিলেন।

আশা করি সর্বোচ্চ আদালতের বিবেচনায় তার জামিন বহাল থাকবে।’    

অনলাইনে সরকারবিরোধী বক্তব্য প্রচার এবং দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণের অভিযোগে ২০২০ সালের অক্টোবরে খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কলাবাগান ও নিউ মার্কেট থানায় দুটি মামলা করে পুলিশ। একটি মামলার বাদী নিউ মার্কেট থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খাইরুল ইসলাম এবং অন্যটির কলাবাগান থানার এসআই আরিফ হোসেন।

গত বছরের মে মাসে পুলিশ দুই মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয়। সেই অভিযোগপত্র আমলে নিয়ে ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল খাদিজাতুল কুবরার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

পরে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর খাদিজাতুল কুবরাকে গ্রেপ্তার করে নিউ মার্কেট থানা পুলিশ। এর পর থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

ওই মামলায় বিচারিক আদালতে জামিন আবেদন নামঞ্জুরের পর তিনি হাইকোর্টে আপিল করেন। সে আপিল মঞ্জুর করে হাইকোর্ট তাকে গত ১৬ ফেব্রুয়ারি নিয়মিত জামিন দেন। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে মার্চে এ জামিন স্থগিত করেন চেম্বার আদালত। পরে এ স্থগিতাদেশ বাতিল চেয়ে খাদিজার পক্ষে আবেদন করা হয়। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষ হাইকোর্টের জামিন আদেশের বিরুদ্ধে লিভ টু আপিল করে।

LEAVE A REPLY