যে কারণে কৌশল পাল্টাচ্ছে ইউক্রেন

রাশিয়ার অধিকৃত ক্রিমিয়া উপদ্বীপে ইউক্রেনের অন্তত ৯টি সামরিক ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি করেছে মস্কো। আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী ও কৃষ্ণসাগরীয় নৌবহর ক্রিমিয়ার সেভাস্তোপোলের বন্দরে ৯টি ইউক্রেনীয় ড্রোন ঠেকিয়ে দেয়। 

রোববার ভোরে এ ঘটনা ঘটে। এমন দাবি করে বিবৃতি দিয়েছেন ক্রিমিয়ায় নিযুক্ত রুশপন্থি গভর্নর মিখাইল রাজভোজায়েভ। 

সম্প্রতি নিউইয়র্ক টাইমসের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পাল্টা আক্রমণের শুরুতে পশ্চিমাদের সরবরাহ করা অস্ত্র ও সরঞ্জামের ২০ শতাংশ হারিয়েছে ইউক্রেন। অভিযানের গতি হ্রাস এবং কমান্ডাররা কৌশল পরিবর্তন করায় ক্ষয়ক্ষতি হার কমেছে। 

মার্কিন ও ইউরোপীয় কর্মকর্তাদের মতে, আক্রমণ শুরুর প্রথম দুই সপ্তাহে রণক্ষেত্রে এসব অস্ত্র ও সরঞ্জাম ক্ষতিগ্রস্ত বা নষ্ট হয়েছে। এর মধ্যে পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া গুরুত্বপূর্ণ আর্মর্ড পারসোনাল ক্যারিয়ার ও ট্যাংক রয়েছে। রাশিয়াকে হারাতে এগুলোর ওপর ভরসা করছিল কিয়েভ।

বেশ কয়েক মাস ধরে নেওয়া রাশিয়ার প্রতিরক্ষা প্রস্তুতির পর বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পাল্টা আক্রমণের শুরুতে ইউক্রেনের এই ক্ষয়ক্ষতিতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। চলতি সপ্তাহে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিও স্বীকার করেছেন, কয়েক সপ্তাহ আগে কয়েকটি স্থানে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্য আক্রমণ স্থগিত করা হয়েছে। তবে তিনি সরঞ্জাম ও গোলাবারুদের ঘাটতিকে দায়ী করেছেন এবং পশ্চিমাদের অস্ত্র সরবরাহের গতি বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

বুধবার ব্রিটিশ প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেন ওয়ালেস বলেছিলেন, এটি খুব দ্রুত গতিতে এগোচ্ছে না। কিন্তু সময়সীমা থেকে বিপর্যয়কর মাত্রায় পিছিয়েও নেই। রাশিয়ার পুঁতে রাখা মাইনক্ষেত্র অতিক্রম করতে অন্যরা যা করতো ইউক্রেনও সেই কাজ করছে।

রণক্ষেত্রে অস্ত্র ও সরঞ্জাম হারানো কমে আসে ইউক্রেন নিজেদের কৌশল পরিবর্তনের কারণে। এখন তারা রাশিয়ার সেনাবাহিনীর ওপর কামান ও দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে হামলা চালাচ্ছে। অথচ শুরুর দিকে শত্রুর মাইনক্ষেত্র ও গুলির মুখে হামলা করতে সেনাদের পাঠিয়েছিল।

LEAVE A REPLY