অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে উদ্যোগী ভারত-শ্রীলঙ্কা

ভারত সফরে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে একাধিক যৌথ অবকাঠামো প্রকল্প নিয়ে আলোচনা করেছেন শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে। এর মধ্যে একটি হলো পক প্রণালিজুড়ে একটি স্থলসেতু নির্মাণ।

শুক্রবার দুই দেশের মধ্যে সেতু তৈরির বিষয়টি বিবেচনা করতে সম্মত হয়েছে ভারত ও শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট রনিল বিক্রমাসিংহে দুই দিনের সরকারি সফরে ভারতে গেছেন।

গত বছর প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর এটাই তার প্রথম ভারত সফর। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। প্রযুক্তি, নবায়নযোগ্য জ্বালানি নিয়ে নতুন দ্বিপক্ষীয় চুক্তির কথা জানান তারা।

একটি কৌশলগত নথি অনুসারে, পক প্রণালিজুড়ে ‘স্থলভাগে সংযোগ’ স্থাপন হলে ত্রিংকেমালি ও কলম্বোর মূল বন্দরগুলোতে প্রবেশাধিকার পাবে ভারত।

মোদি জানিয়েছেন, উভয় পক্ষ দ্রুত একটি পেট্রোলিয়াম পাইপলাইন নির্মাণের সম্ভাবনা খতিয়ে দেখতে চলেছে।

মোদির কথায়, দুই নেতা অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করতে একটি পদক্ষেপ নিয়েছেন। সমুদ্রপথে সংযোগ বাড়ানো, বায়ুশক্তি এবং অন্যান্য শক্তিসংক্রান্ত সংযোগ জোরদার করা, পর্যটন, বাণিজ্য এবং উচ্চশিক্ষায় পারস্পরিক সহযোগিতা নিয়েও কথা বলেছেন তারা।

শ্রীলঙ্কার অর্থনৈতিক সংকট
মোদি বলেছেন, ‘শ্রীলঙ্কার নাগরিকদের কাছে গত বছরটা খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল।

ঘনিষ্ঠ বন্ধু হিসেবে আমরা তাদের পাশে ছিলাম।’

বিপুল পরিমাণে বৈদেশিক ঋণখেলাপিও রয়েছে শ্রীলঙ্কার। গত বছর আর্থিক সংকটের পর ভারত প্রায় চার কোটি ডলার দিয়ে সাহায্য করেছে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে, যার মধ্যে খাদ্য, ওষুধ ও জ্বালানিও রয়েছে।

সম্প্রতি দ্বীপরাষ্ট্রটি আইএমএফের থেকে সাহায্য পেয়েছে। সংকট মোকাবেলায় বিক্রমাসিংহে সরকারের নেওয়া সংস্কার ব্যবস্থা নিয়ে মোদিকে জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট।

ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাব নিয়ে আলোচনা
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিনয় কোয়াত্রা শ্রীলঙ্কায় ‘চীনা উপস্থিতি’ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।

শ্রীলঙ্কার সবচেয়ে বড় দ্বিপক্ষীয় ঋণদাতা চীন। বেশ কয়েক বছর আগে কলম্বো বেইজিংয়ের থেকে নেওয়া নির্মাণ ঋণ শোধ করতে পারেনি। তখন একটি চীনা কম্পানি শ্রীলঙ্কার গুরুত্বপূর্ণ একটি বন্দরের ৯৯ বছরের লিজ পেয়েছিল।

কোয়াত্রা একটি সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘আমাদের সামুদ্রিক এলাকা বা মেরিটাইম ডোমেইনে যা ঘটছে, তা জানিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আমাদের নিরাপত্তা এবং কৌশলগত উদ্বেগের কথা তারা জানে। তারা এ বিষয়টিকে সম্মান করে।’

LEAVE A REPLY