চার আসামি সংশ্লিষ্ট মামলার অভিযোগপত্র চেয়েছেন হাইকোর্ট

বেসিক ব্যাংকের ঋণ জালিয়াতি ও অর্থপাচার অভিযোগের ২০ মামলার অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেখতে চেয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বৃহস্পতিবার এসব অভিযোগপত্র আদালতে উপস্থাপন করতে বলা হয়েছে।

ব্যাংকটির চার কর্মকর্তার আগাম জামিন আবেদনের শুনানিতে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মৌখিক আদেশ দেন।

আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এ এম মাছুম।

দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশীদ আলম খান।

জামিন আবেদনকারী চার ব্যাংক কর্মকর্তা হলেন ব্যাংকটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এজিএম সাদিয়া আক্তার শাহীন, মতিঝিল স্থানীয় শখার এজিএম মো. জালাল উদ্দিন, গুলশান শাখার এজিএম রুমানা আহমেদ এবং হেড অফিসের এজিএম এ এস এম আনিসুর রহমান।

বেসিক ব্যাংকের ঋণ কেলেঙ্কারির ৫৯ মামলায় ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্রের (চার্জশিট) অনুমোদন দেয় দুদক। একটি ছাড়া বাকি ৫৮ মামলায় ব্যাংকটির সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাচ্চুকে অভিযোগপত্রভুক্ত আসামি করা হয়েছে।

গত ১২ জুন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান দুদক সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

ওই দিন রাজধানীর সেগুনবাগিচায় সংস্থাটির প্রধান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের ডেকে বেসিক ব্যাংকের মামলা নিয়ে দুদকের বক্তব্য তুলে ধরা হয়। সবমিলিয়ে ৫৯টি মামলায় ১৪৭ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র অনুমোদনের কথা বলা হয় দুদকের পক্ষ থেকে। এদের মধ্যে বেসিক ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান বাচ্চুসহ ব্যাংকের কর্মকর্তা ৪৬ জন।

আর গ্রাহক ১০১ জন।

আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা জালিয়াতি করে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে বেসিক ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে ২ হাজার ২৬৫ কোটি ৬৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেছেন। এসব ঘটনায় দুদকের পাঁচ তদন্ত কর্মকর্তা মোট ৫৯টি মামলা করেন। এর মধ্যে দুদকের উপপরিচালক মোহাম্মদ মোরশেদ আলম ছয়টি, মোহাম্মদ ইব্রাহিম ১৫টি, মো. মোনায়েম হোসেন ১৭টি, মোহাম্মদ সিরাজুল হক তিনটি ও মো. গুলশান আনোয়ার প্রধান ১৮টি মামলার তদন্ত করেছেন। তাদের প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতেই কমিশন আদালতে চার্জশিট দাখিলের অনুমোদন দিয়েছে।

LEAVE A REPLY