রিপোর্ট দেখার পর আমার মেজাজ গরম হয়ে গেল : পাপন

গত মে মাসে ইংল্যান্ডে আয়ারল্যান্ড সিরিজ চলাকালীনই তামিম ইকবালের পিঠের নিচের অংশে স্ক্যান করানো হয়েছিল। ওই স্ক্যান রিপোর্টে গুরুতর কিছু ধরা পড়েনি বলেই সেই সময় আশ্বস্ত করেছিল বিসিবির মেডিক্যাল বিভাগ। যদিও এবার ইংল্যান্ডে গিয়ে যে স্পাইন বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হন তিনি, সেই টনি হ্যামন্ড একই স্ক্যান রিপোর্ট দেখে তামিমের মেরুদণ্ডের নিচের দুটি হাড়ের মাঝের ডিস্কে ক্ষয় আবিষ্কার করেন। পরে যা শুনে নিজেদের মধ্যে অসন্তোষও প্রকাশ করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান।

কিন্তু তত দিনে অনেক সময় চলে গেছে। তামিমের চিকিৎসায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবহেলা নিয়ে ফিসফিসও শুরু হয়ে যায়। অবশেষে গত রাতে সেটি প্রকাশ্যেও চলে আসে। নিজের বাসভবনের পার্কিংয়ে তামিমকে নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বসা নাজমুলকে বিব্রতকর এই প্রশ্নের মুখেও পড়তে হয় যে এতে বিসিবিরও কোনো দায় তিনি দেখেন কি না।

আগেই সমস্যা চিহ্নিত করা গেলে হয়তো ওয়ানডে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দেওয়া তামিমকে এশিয়া কাপেও পাওয়া যেত।

বিসিবি সভাপতি অবশ্য দায় আড়াল করার কোনো চেষ্টাই করলেন না। সংস্থার প্রধান হিসেবে নিজেদের অবহেলা স্বীকার করার পাশাপাশি বিষয়টি তদন্তের কথাও বললেন, ‘আমার তো মেজাজই গরম হয়ে গেল রিপোর্ট দেখার পর। এই ব্যাপারটি আমাদের আরো তদন্ত করে বের করা দরকার।

এটি যেভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে, তাতে একটি ব্যাপার আছে। এটি হওয়ার কথা নয়। এটি যদি আগে থেকেই হয়ে থাকে, তাহলে এত দিনে ভালো হয়ে যাওয়ার কথা। তো নিশ্চয়ই এটি নিয়ে অবহেলা করা হয়েছে। এ জন্যই আমাদের এখন এ রকম কথা শুনতে হচ্ছে।আগে থেকে চিকিৎসা করা হলে এত দিনে ভালো হয়ে যেত।’

অবহেলা কার, বোর্ডপ্রধানের বক্তব্য থেকে সে বিষয়েও কিছুটা ধারণা মিলতে পারে, “তামিম কিন্তু ঢাকায়ও এমআরআই থেকে শুরু করে স্ক্যান, যা যা করার, সব করিয়েছে। ভারত, লন্ডন ও ব্যাংককে নিজের থেকে চিকিৎিসক দেখিয়েছে। এবার প্রথম দুবাই (সেখানে ছুটি কাটানোর সময় ভিডিও কলে দুবাই, ঢাকা ও লন্ডনকে সংযুক্ত করেন তামিম। যে কলে বিসিবির চিকিৎিসকের সঙ্গে কথা বলেন হ্যামন্ডও) থেকে একটি রিপোর্ট পাঠায়। ওটাতে দেখি যে একটি সমস্যা আছে। দেখার পরই আমি ওকে বলেছি, ‘তুমি দেবাশীষসহ (বিসিবির প্রধান চিকিৎিসক) আমাকে ফোন কল করো।’ আমাকে কেন বলা হয়নি?”

তামিম নিজেও এই দুরবস্থার জন্য কোনো একদিকে ইঙ্গিত করলেন, ‘আমার যে সমস্যা, সেটি গত নভেম্বর থেকেই ছিল। কিন্তু কথা হলো, উনাকে (নাজমুল) তো কেউ একজন জানায়। আমি তো আগে (রিপোর্ট) পাঠাইনি উনাকে। উনাকে যখন প্রথম পাঠাই, উনি সঙ্গে সঙ্গে আমাকে ফোন করে জানতে চেয়েছেন, তাঁকে এত দিন জানানো হয়নি কেন। উনি তখন কথা বলিয়ে দিতে বলেন। যা-ই হোক, আমরা যদি ওপেন থাকি, তাহলে এই সমস্যাগুলো হয় না। তো আমরা এখন পুরোপুরি স্পষ্ট যে গত ছয় মাসে কী হয়েছে!’

LEAVE A REPLY