ফাইল ছবি
এক সপ্তাহের ব্যবধানে ডিমের ডজনে দাম বেড়েছে ১০ টাকা। আর হালি হিসেবে কিনলে ৫ টাকা বাড়তি গুনতে হচ্ছে ক্রেতাদের। খুচরা বিক্রেতাদের দাবি, পাইকারিতে ডিমের দাম বেড়েছে, এর প্রভাব পড়েছে খুচরা দামে।
তবে উৎপাদন কমে যাওয়ায় ডিমের দাম বেড়েছে বলে দাবি ব্যবসায়ীদের।
গরমের কারণে খামারে ডিমের উৎপাদন কমেছে বলে জানান তারা।
রাজধানীর বাজারগুলোতে এখন প্রতি ডজন ফার্মের লাল ডিম বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। আর পাড়া-মহল্লার কিছু দোকানে একই ডিম ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। গত এক সপ্তাহে পাইকারিতে ১০০ ডিমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে বলে জানিয়েছেন পাইকারি ব্যবসায়ীরা।
আজ রবিবার রাজধানীর কারওয়ান বাজার, গুলশান কালাচাঁদপুর, তেজগাঁও, বাড্ডা ও রামপুরা বাজার ঘুরে এবং পাইকারি ও খুচরা ব্যবসায়ীদের সঙ্গে কথা বলে এসব তথ্য জানা গেছে।
বাজার ঘুরে দেখা গেছে, এক সপ্তাহ আগে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোতে ফার্মের প্রতি ডজন লাল ডিম বিক্রি হয় ১৪৫ টাকায়, দাম বেড়ে সেটি এখন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৫৫ টাকায়। পাড়া-মহল্লার কিছু দোকানে ১৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি করতে দেখা গেছে।
এদিকে বাজারের চেয়ে পাড়া-মহল্লার দোকানে ডিমের দাম বেশি রাখার কারণ জানতে চাইলে গুলশানের কালাচাঁদপুর মুদি দোকানি মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘বাজারের দোকানগুলোতে পাইকারি বিক্রেতারা ডিম দিয়ে যায়।আর আমাকে তাদের (বাজারের দোকানদারদের) কাছ থেকে নিজ খরচে কিনে আনতে হয়। বাজার থেকে অল্পসংখ্যক ডিম এনে দোকানে বিক্রি করি। তাই কিছুটা বাড়িয়ে বিক্রি করতে হয়।’
রাজধানীর কারওয়ান বাজারের খুচরা ডিম ব্যবসায়ী মো. মহিন বলেন, ‘ডিমের দাম কিছুটা বাড়ায় এখন ফার্মের লাল ডিম প্রতি ডজন ১৫০ টাকা এবং ফার্মের সাদা ডিম ১৪৫ টাকায় বিক্রি করছি।’
ঢাকার অন্যতম বৃহৎ ডিম সমিতি তেজগাঁও ডিম ব্যবসায়ী বহুমুখী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. আমান উল্লাহ কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘প্রচণ্ড গরমের কারণে খামারিদের ডিমের উৎপাদন কিছুটা কমেছে এবং বিভিন্ন কারণে খামারিদের উৎপাদন খরচ বেড়ে গেছে।
যার কারণে এখন ডিমের দাম কিছুটা বেড়েছে। ফলে এক সপ্তাহে প্রতি ১০০ ডিমে ১২০ থেকে ১৩০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। পাইকারিতে এখন প্রতি ১০০ ডিম বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ১৫০ টাকায়। এক সপ্তাহ আগে বিক্রি হয় এক হাজার ২০ থেকে এক হাজার ৩০ টাকায়।’