তোশাখানা মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন সাবেক পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। ইসলামাবাদের একটি আদালত তাকে তিন বছরের কারাদণ্ড দেন। এর পরেই তাকে অতিসত্বর গ্রেপ্তার করা হয়। ইমরানকে এক লাখ রুপিও জরিমানা করেন ইসলামাবাদের জেলা বিচারিক আদালত।
রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার আগে, সোমবার ইমরানের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় আইনজীবী নাঈম পানঝুতাকে। দেখা শেষে তিনি অভিযোগ করেন, ইমরানকে ছোট্ট, নোংরা কারাকক্ষে রাখা হয়েছে। তাকে রাখা হয়েছে পাঞ্জাবের একটি ‘কুখ্যাত’ কারাগারে। তিনিই পাকিস্তানের প্রথম সাবেক কোনো প্রধানমন্ত্রী, যাকে এই কারাগারে রাখা হয়েছে।
কারাগারের পরিবেশ একেবারেই বাজে এবং বিচারে দোষী সাব্যস্ত হওয়া জঙ্গিদের এখানে বন্দি রাখা হয়।
ইমরান খান তার আইনজীবীর কাছে জানিয়েছেন, তাকে যে সেলে রাখা হয়েছে সেখানে দিনে মাছি বন বন করছে এবং রাতে পোকামাকড় বের হচ্ছে। আইনজীবীকে তিনি আরো বলেছেন, এই জেলে থাকতে চান না। পিটিআই প্রধানকে অ্যাটোক কারাগার থেকে আদিয়ালা জেলে স্থানান্তরের অনুরোধ জানিয়ে ইসলামাবাদ হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির কাছে আবেদন করে পিটিআই।
কারাগারের সুবিধা বাড়াতেও আবেদন করা হয়েছে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জেলে সাক্ষাতের পর আইনজীবী নাঈম জানান, ‘এটি তৃতীয় শ্রেণির জেল। পরিষেবার মান খুব খারাপ। তিনি খুব কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। সেলে মাছি ও পোকামাকড়ের উৎপাতের অভিযোগ জানিয়েছেন ইমরান।’ যতই অসুবিধা হোক না কেন, যদি সারা জীবন কারাগারের পেছনে থাকতে হয় তো তিনি থাকবেন কিন্তু মাথা নত করবেন না বলে জানিয়েছেন ইমরান খান।
সূত্র : সংবাদ প্রতিদিন