ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় বিস্ফোরক মন্তব্য শ্রীলেখার

শ্রীলেখা মিত্র

সমসাময়িক ইস্যুতে বরাবরই আওয়াজ তোলেন টলিউড অভিনেত্রী শ্রীলেখা মিত্র। এবার যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুর ঘটনায় মুখ খুললেন শ্রীলেখা। অভিনেত্রী জানালেন, একটা প্রতিষ্ঠান শুধু টার্গেট হতে পারে না। 

সম্প্রতি ছাত্র মৃত্যু নিয়ে তোলপাড় চলছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা বাংলা।

যাদবপুরের প্রথম বর্ষের ওই পড়ুয়ার রহস্য-মৃত্যু নিয়ে যখন বিভিন্ন মহলে নানা রকম জল্পনা বহাল, তখন বিশিষ্ট মহল কিন্তু ধীরেসুস্থে মৌনতা ভাঙছে। যাদবপুরকাণ্ডে খুনের বিচার চেয়ে পোস্ট করেছিলেন ঋদ্ধি সেন, কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা সেনগুপ্তরা। সরব হয়েছেন তারকা ও সংসদ সদস্য দেবও। এবার যাদবপুরের পাশে দাঁড়িয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করলেন শ্রীলেখা মিত্র।

width=”300″ height=”250″>
1

যাদবপুর সংস্কৃতি নিয়ে যখন প্রশ্ন তুলেছে সমাজের একাংশ, সেখানে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে স্রোতের বিপরীতে হেঁটে শ্রীলেখা বলেন, “বাংলায় একটা প্রবাদ আছে, ‘শক্তের ভক্ত নরমের যম।’ এটা মাথায় এলো যাদবপুর ইউনিভার্সিটি প্রসঙ্গে। যাদবপুর ইউনিভার্সিটিতে এসে এই মানুষগুলো খারাপ হয়েছে, এ বিশ্বাস আমি করি না। একটু গভীরভাবে ভাবতে শিখুন, মানুষের বেড়ে ওঠা তার পারিপার্শ্বিক তার পূর্ব কোনো অভিজ্ঞতা আরো অনেক কিছু থাকতে পারে।

মানুষ আসলেই ঈশ্বর বা প্রকৃতির সবচেয়ে নিকৃষ্ট সৃষ্টি। জঙ্গলে বাঘ-সিংহ শিকার করে তার ক্ষুধা নিবৃত্ত করার জন্য, মানুষ সজ্ঞানে রেপ করে খুন করে ব়্যাগিং করে। আরো কত কিছুই করে।”

অভিনেত্রী আরো বলেছেন, ‘যাদবপুর ইউনিভার্সিটি থেকে পাস করে অনেক গুণী ছাত্র-ছাত্রী সমাজে প্রতিষ্ঠা পেয়েছে। জানি আমার এই পোস্টটার সাথে অনেকেই একমত হবেন না।

না-ই হতে পারেন। মোদ্দা কথা হলো ক্ষমতা এবং তার অপব্যবহার। রাজনীতি আপনার বাড়ির রান্নাঘরেও হয়, মানুষ যত দিন বাঁচবে ক্ষমতার লড়াই চলবে।’

যাদবপুরের ছাত্র মৃত্যুতে রাজনৈতিক রং লাগায় উল্লেক করে শ্রীলেখা মিত্র বলেছেন, ‘যার সন্তান গেছে তার কাছে কোনো লজিকই কার্যকর নয়। এটা কোনো সাধারণ ইস্যু নয়, এটা পাওয়ার গেম। যা পলিটিক্যাল পার্টিরা এই মুহূর্তে ব্যবহার করছে। অনেক প্রশ্ন আছে, অনেক ফ্রাস্ট্রেশন জমছে, কিন্তু তার টার্গেট শুধু একটা প্রতিষ্ঠান হতে পারে না। সময়টা বড় গোলমেলে, সবাই সাবধানে থাকুন, সাবধানে রাখুন। অন্যায় দেখলে নিশ্চয়ই প্রতিবাদ করুন, কিন্তু সেটা বুঝে করুন। প্রত্যেকের একটা সাইকোলজিক্যাল ইভালুয়েশনের প্রয়োজন। স্কুল, কলেজ, কর্মস্থল―সব ক্ষেত্রে।’

LEAVE A REPLY