ফাইল ছবি
আগামী ১০০ বছরের আমদানি ও রপ্তানির বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে দেশের বন্দরগুলোর জন্য একটি সমন্বিত মাস্টারপ্ল্যান তৈরির সুপারিশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে সমুদ্রবন্দরে পণ্য খালাসের সময় কমানোর লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে।
আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। কমিটির সভাপতি মেজর (অব.) রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মো. মজাহারুল হক প্রধান, রনজিত কুমার রায়, গোলাম কিবরিয়া টিপু ও মো. আছলাম হোসেন সওদাগর এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
কমিটি সূত্র জানায়, আমদানি পণ্য খালাস করতে সবচেয়ে বেশি সময় ব্যয় হয় দেশের সমুদ্রবন্দরে। সেখানে পণ্য খালাস হতে গড়ে সময় লাগে ১১ দিন ছয় ঘণ্টা ২৩ মিনিট। স্থলবন্দরে পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে সময় লাগে ১০ দিন আট ঘণ্টা ১১ মিনিট ও বিমানবন্দরে সময় লাগে সাত দিন ১১ ঘণ্টা ১৯ মিনিট। আমদানি পণ্য খালাসে বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রায় ১২ থেকে ২০ শতাংশ সময় ব্যয় করে।
অন্যদিকে চট্টগ্রাম, বেনাপোল ও ঢাকা কাস্টম হাউস (ডিসিএইচ) একটি পণ্যের সামগ্রিক রিলিজ প্রক্রিয়ায় মাত্র ৭-৮ শতাংশ সময় ব্যয় হয়।
বৈঠকে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত উন্নয়ন প্রকল্পের বাস্তবায়ন অগ্রগতি, সমস্যা ও উত্তরণের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে জমি অধিগ্রহণের ক্ষেত্রে পায়রা বন্দর কর্তৃপক্ষকে সতর্কতা অবলম্বন এবং স্বল্প জমিতে অধিক কার্যক্রম নেওয়ার সুপারিশ করা হয়।