নাটকেই বেশি কাজ করেন কুসুম শিকদার। দেখা গেছে সিনেমাতেও। জিতেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। তবে দীর্ঘ সময় ধরে অনিয়মিত প্রায় সব মাধ্যমেই। বর্তমান ব্যস্ততা এবং সমসাময়িক প্রসঙ্গ নিয়ে আজকের ‘হ্যালো…’ বিভাগে কথা বলেছেন তিনি।
দীর্ঘদিন আপনি পর্দায় নেই। কেন?
প্রশ্নোত্তরে কুসুম শিকদার বলেন, হ্যাঁ। পাঁচ বছর পার হয়ে গেছে। শেষ কাজ করেছি ২০১৮ সালে, হানিফ সংকেতের পরিচালনায় ‘শেষ অশেষের গল্প’। তারপর ভাবলাম যে একটানা অনেক বছর তো কাজ করলাম। এবার একটু বিরতি নেই। কারণ এখন আর আগের মতো একটানা ত্রিশ দিন-ষাট দিন কাজ করার ইচ্ছা নেই। তার পর থেকেই ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে ব্যস্ত আছি।
আবার ফিরবেন কবে?
শিগশির ফিরব। এবার একটা নতুনরূপে, নতুন দায়িত্বে ফিরব। নিজের রচনা, পরিচালনা এবং প্রযোজনায় একটি সিনেমা তৈরি করেছি। নাম ‘শরতের জবা’। এখন পোস্ট প্রোডাকশনের কাজ চলছে। যেহেতু পরিচালক এবং প্রযোজক হিসেবে এটা আমার প্রথম সিনেমা, তাই এতদিন ধরে এটার প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম।
পরিচালক এবং প্রযোজক হওয়ায় অনুভূতি কেমন?
অসাধারণ এক অভিজ্ঞতা। সেই ২০০২ সাল থেকে ক্যামেরার সামনে কাজ করছি। অভিনয়েই অভ্যস্ত আমি। কিন্তু পরিচালনার ইচ্ছাও ছিল মনে। পরিচালক হয়ে খুব উপভোগ করেছি শুটিংয়ের পুরো সময়টা। কিন্তু চ্যালেঞ্জিং ছিল প্রযোজনা। এত বড় টিম, তাদের থাকা-খাওয়া, শুটিং, এমনকি টাকা-পয়সার বিষয়টাও একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হয়েছে।
ওটিটিতে কোনো কাজ করেছেন?
আপাতত না। তবে প্রচুর প্রস্তাব পাচ্ছি। নানা ধরনের গল্প, নানা ধরনের চরিত্র। কখনো থ্রিলার, কখনো মিস্টিরিয়াস-বিভিন্ন ভেরিয়েশনের ক্যারেক্টার। কিন্তু যেহেতু বিরতিতে ছিলাম, তাই কোনো কাজ হাতে নেইনি। এখন সুযোগ আছে, দেখা যাক কী হয়।