জমজমাট লড়াইয়ে আলকারাজকে হারালেন জোকোভিচ

উইম্বলডন ফাইনালে হারের প্রতিশোধ নিলেন নোভাক জোকোভিচ। যদিও উইম্বলডনের সঙ্গে সিনসিনাসি ওপেন তুলনীয় নয়; তবু হাঁটুর বয়সী কার্লোস আলকারাজকে হারিয়ে নিজের আসল রূপটা দেখালেন ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্লামজয়ী। এটিপি সিনসিনাসি ওপেনের শিরোপা জিততে তাকে পৌনে চার ঘণ্টা কঠিন লড়াই করতে হয়েছে। জোকোভিচ ম্যাচটি জিতেছেন ৫-৭, ৭-৬ (৯/৭), ৭-৬ (৭/৪) গেমে।

বিশ্বের শীর্ষ দুই খেলোয়াড়ের মধ্যে জমাট এই লড়াই দারুণ উপভোগ করেছেন সিনসিনাতির দর্শকরা।

ম্যাচ শেষে ২৩ বারের গ্র্যান্ড স্লাম বিজয়ী জোকোভিচ বলেছেন, ‘এটা সত্যিই ভিন্ন এক ম্যাচ ছিল। এ সম্পর্কে কী বলব বুঝে উঠতে পারছি না। এর বর্ণনা দেওয়া কঠিন।

আমি আমার ক্যারিয়ারে যত ম্যাচ খেলেছে, এটি সবচেয়ে কঠিন ছিল। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমরা একই তালে লড়াই করে গেছি। একে অপরকে কিভাবে ছাড়িয়ে যাওয়া যায় সেই চিন্তা করেছি। সব মিলিয়ে কঠিনতম ও অন্যতম উত্তেজনাকর একটি ম্যাচের অভিজ্ঞতা আজ অর্জন করলাম।

এ ধরনের ম্যাচের পর আরো বেশি পরিশ্রমী হওয়ার তাগিদ অনুভব করছি।’

তিন ঘণ্টা ৪৪ মিনিটের লম্বা সময়ের ফাইনালে দ্বিতীয় সেটে গরমের কারণে অসুস্থ হয়ে পড়লে চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হয়েছে জোকোভিচকে। অন্যদিকে ২০ বছর বয়সী আলকারাজ বলেছেন, ‘সত্যি কথা বলতে কি আমি নিজেকে নিয়ে গর্ববোধ করছি। আমি জানি না কেন আমি কেঁদেছি। তবে আমি শেষ বল পর্যন্ত লড়াই করেছি।

সর্বকালের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়কে প্রায় হারিয়েই দিয়েছিলাম। তার পরও যা আমি করে দেখিয়েছি তাতে আমি সত্যিই দারুণ খুশি। নোভাক প্রতি পয়েন্টে পাঁচ, ছয়, সাতটি বল রিটার্ন করেছে। সে কারণেই এক কর্নার থেকে অন্য কর্নারে আমাকে ছুটতে হয়েছে। পয়েন্ট অর্জন করা সত্যিই কঠিন হয়ে পড়েছিল।’

LEAVE A REPLY