মাত্র ৩০ মিনিটে মানিকগঞ্জ জেলার হরিরামপুরে পদ্মা নদীতে বিলীন হয়েছে ১২টি বাড়ি। একইসঙ্গে বাড়িতে থাকা নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজষপত্রও ভেসে গেছে পদ্মা নদীতে।
সোমবার রাত ৯টার দিকে আকস্মিকভাবে উপজেলার ধূলশুড়া ইউনিয়নের আবিধারা ও ইসলামপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, পদ্মায় আবিধারা ও ইসলামপুর গ্রামের লিটন, বাদল, রফিজ, কালাম, সেকেন্দার, শাহিন, আফজাল বিশ্বাস, সিদ্দিক মেম্বারদের বাড়ি বিলীন হয়েছে পদ্মায়।
ইসলামপুর গ্রামের গৃহবধূ ময়না বেগম যুগান্তরকে বলেন, বসতভিটার সঙ্গে পদ্মা নদী ভাসিয়ে নিয়ে গেছে ৫০ মন ধান, ৫ মন সরিষা, ৪ মন তিল ও ভুট্টা। পরিবারের সবার ঠাঁই এখন খোলা আকাশের নিচে। মাত্র ৩০ মিনিটে সাজানো সংসার লণ্ডভণ্ড হয়ে গেল আমার। এখন পথের ফকির হয়ে গেছি।
মোহনপুর এলাকার সাগর বলেন, স্থায়ী বাঁধ না হলে অবশিষ্ট যা বসতভিটা আছে সেটুকুও পদ্মায় বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে।
গৃহবধূ সালমা আক্তার জানান, স্বামী সন্তান নিয়ে রাতে ঘুমিয়েছিলাম।আকস্মিক ভূমিকম্পের মতো সব কিছু নিয়ে গেছে।
ধূলশুড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাহেদ খান বলেন, এটা এক ধরনের ভূমিকম্প! ভূমি ধ্বস। ত্রিশ মিনিটে পদ্মায় পেটে চলে গেল ১২টি বাড়ি। এটি খুবই দুঃখজনক।
হরিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তাপসী রাবেয়া বলেন, ভাঙন এলাকাটি পরিদর্শন করেছি। অতিরিক্তি জেলা প্রশাসক (সার্বিক) সানোয়ারুল হকও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে ভাঙন রোধে জিও ব্যাগ ফেলার উদ্যোগ নিয়েছে পানি উন্নয়ন বিভাগ।
মানিকগঞ্জ পানি উন্নয়ন বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মঈন উদ্দিন বলেন, পানি উন্নয়ন বিভাগ থেকে আপাতত ১ হাজার ২০০মিটার জায়গার কাজ চলছে। জিও ব্যাগের পাশাপাশি, জিও টিউব ও ডাম্পিং কাজ শুরু হয়েছে। সবগুলো শেষ হলে আশা করি ভাঙন কিছুটা রোধ হবে।