মিয়ানমারের সামরিক সরকারের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা আরও বাড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। দেশটির অর্থ মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই নিষেধাজ্ঞার কথা জানিয়েছে। নতুন নিষেধাজ্ঞায় দেশটির যুদ্ধ বিমানের জ্বালানি (জেট ফুয়েল) ক্রয়ের সঙ্গে জড়িত বা এতে সহায়তা দানকারী বিদেশি প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তিদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। বেসামরিক জনগণের ওপর সেনাবাহিনীর বিমান হামলার কথা উল্লেখ করে এই নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।
ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স এ খবর জানিয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় (ট্রেজারি বিভাগ) এই নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বলে বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন মন্ত্রণালয়ের সন্ত্রাসবাদ ও অর্থনৈতিক গোয়েন্দা বিভাগের আন্ডার সেক্রেটারি ব্রায়ান নেলসন। বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন সামরিক সরকার বিদ্রোহ দমনে বিমানবাহিনীর ব্যবহার উত্তরোত্তর বৃদ্ধি করছে। সাধারণ জনগণের বিক্ষোভকে দমন করতে একের পর এক বিমান হামলা চালাচ্ছে।
আমাদের এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হলো- বিমানের জ্বালানির জন্য জন্য জান্তা যেসব উৎসের ওপর নির্ভর করে, সেসব থেকে তাদের বঞ্চিত করা।’
গত ২০২১ সালের ১ ফেব্রুয়ারি অভ্যুত্থানের মাধ্যমে মিয়ানমারের গণতন্ত্রপন্থী নেত্রী অং সান সুচির নেতৃত্বাধীন সরকারকে উচ্ছেদ করে জাতীয় ক্ষমতা দখল করে সামরিক বাহিনী। সেনাপ্রধান মিন অং হ্লেইং এই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন। অভ্যুত্থানের পর গঠিত সামরিক সরকারের প্রধানের পদেও রয়েছেন তিনি।
এদিকে জান্তার ক্ষমতা দখলের পর থেকেই সরকারবিরোধী বিক্ষোভ শুরু করে মিয়ানমারের গণতন্ত্রীপন্থী জনগণ। সেই বিক্ষোভ দমনে প্রথম দিকে রাবার বুলেট-জলকামান, তারপর আগ্নেয়াস্ত্র এবং বর্তমানে বিমানবাহিনীকে ব্যবহার করছে জান্তা। আন্তর্জাতিক ও মিয়ানমারের আভ্যন্তরীণ বিভিন্ন মানবাধিকার সংস্থার তথ্য অনুসারে জান্তা ক্ষমতা দখলের পর থেকে এ পর্যন্ত সরকারি বাহিনীর সহিংসতায় দেশটিতে প্রাণ হারিয়েছেন প্রায় ৪ হাজার মানুষ।