ক্যারিয়ারের সুসময়টা লম্বা করেই যাচ্ছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তার ব্যাটে এখন রানের ফোয়ারা। সেই সঙ্গে আছে দারুণ ধারবাহিকতাও। আজ বৃহস্পতিবার এশিয়া কাপের মঞ্চে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বাংলাদেশ দল যখন মহাবিপদে, তখন এক প্রান্ত আগলে রেখে দারুণ লড়াই করলেন।
ওয়ানডে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরির কাছাকাছি গিয়েও শেষ পর্যন্ত পারেননি। তার ১২২ বলে ৭ চারে ৮৯ রানের ইনিংস শেষ হয় মহিশ থিকশানার বলে বোল্ড হয়ে।
পাল্লেকেলেতে টস জিতে ব্যাটিংয়ে নেমেই বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। ৩৬ রানে নেই ৩ উইকেট! মহিশ থিকশানার করা ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারেই এলবিডাব্লিউ হন অভিষিক্ত তানজিদ তামিম (০)।
আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম শেখ দীর্ঘদিন পর ওয়ানডেতে সুযোগ পেয়েও আউট হন ২৩ বলে ১৬ রানে। এক প্রান্ত আগলে রাখা নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গ দিতে পারেননি অধিনায়ক সাকিবও। মাথিশা পাথিরানার বলে ফেরেন ৫ রানে। মাত্র ৩৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে প্রবল চাপে পড়ে গিয়েছিল বাংলাদেশ।
সেখান থেকে দুই তরুণ নাজমুল হোসেন শান্ত ও তাওহীদ হৃদয়ের ব্যাটে শুরু হয় ঘুরে দাঁড়ানোর মিশন। ৬৬ বলে ক্যারিয়ারের চতুর্থ ফিফটি তুলে নেন শান্ত। জুটিও ছাড়িয়ে যায় ৫০। এর পরই ছন্দঃপতন! দাসুন শানাকার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান ৪১ বলে ২০ রান করা তাওহীদ হৃদয়। তার ইনিংসে নেই কোনো বাউন্ডারি।
ফিল্ড আম্পায়ার হৃদয়কে আউট না দিলেও রিভিউ নিয়ে জয়ী হয় শ্রীলঙ্কা। ভাঙে ৫৯ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি। ৯৫ রানে নেই ৫ উইকেট। শান্তর সঙ্গী হন মুশফিক।
এই জুটিও সম্ভাবনা জাগিয়েছিল। মুশফিক একবার ক্যাচ দিয়েও বেঁচে গিয়েছিলেন। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারলেন না। পাথিরানার বলে করুণারত্নের তালুবন্দি হওয়ার আগে করেন ১৩ রান। ২২ বলের ইনিংসে ছিল একটি বাউন্ডারি। পঞ্চম উইকেট জুটি ভাঙে ৩২ রানে। লোয়ার মিডল অর্ডারের ভরসা মেহেদি মিরাজ মাত্র ৫ রানে রান-আউট হলে বিপদ ফের বাড়ে। শেখ মেহেদী (৬) এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। রিভিউ নিলেও ‘আম্পায়ারস কলে’ তাকে ফিরতে হয়। এমন মুহূর্তে নাজমুল সেঞ্চুরিটা পাবেন কি না, সেটা নিয়ে তৈরি হয় শঙ্কার। শেষ পর্যন্ত শঙ্কাই সত্যি হয়। অষ্টম ব্যাটার হিসেবে সেঞ্চুরির কাছে গিয়ে থামেন নাজমুল।