সদরঘাটে ১০ টাকা মূল্যের টার্মিনাল ফি কেন অবৈধ নয়, জানতে চান হাইকোর্ট

ঢাকার সদরঘাটসহ দেশের সব লঞ্চ টার্মিনালে বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের ১০ টাকা মূল্যের টার্মিনাল ফির বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন হাইকোর্ট। টার্মিনাল ফির নামে নৌপথের যাত্রীদের ১০ টাকা মূল্যের টিকিট কিনতে বাধ্য করা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।

সুপ্রিম কোর্টের এক আইনজীবীর করা রিটে প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের ও বিচারপতি মোহাম্মদ শওকত আলী চৌধুরী হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। চার সপ্তাহের মধ্যে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব, স্থানীয় সরকার সচিব, বাংলাদেশ আভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান, সচিব, ঢাকার জেলা প্রশাসক ও সদরঘাট এলাকার ট্রাফিক সার্জেন্টকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মোকছেদ আলী ও মো. সারোয়ার আলম।

আইনজীবী মো. মোকছেদ আলী কালের কণ্ঠকে বলেন, টিকিট কাটার পর প্লেন অথবা ট্রেনের যাত্রীদের কাছ থেকে বিমানবন্দরে, রেল স্টেশন ব্যবহারের জন্য আলাদা কোনো ফি আদায় করা হয় না। রেল স্টেশনে প্লাটফর্ম ব্যবহারের জন্য টিকিট কাটতে হয়। সেটি আবার টিকিট কাটা যাত্রীর জন্য প্রযোজ্য নয়।

কিন্তু লঞ্চ যাত্রীরা টার্মিনাল ফির নামে ১০ টাকা মূল্যের টিকিটি কিনতে বাধ্য হচ্ছেন। এই টিকিটের বৈধতা প্রশ্নে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

রিট আবেদনে যুক্ত করা টার্মিনাল টিকিকে বলা হয়েছে, ভ্যাট ও নৌ-দুর‌্যোগ তহবিল বাবদ ২ টাকাসহ টিকিটের মূল্য ১০ টাকা। এই টিকিট কেবলমাত্র একবার টার্মিনালে প্রবেশের জন্য প্রযোজ্য।

সম্প্রতি লঞ্চে ভ্রমণ করতে গিয়ে এই টিকিট কিনতে বাধ্য হন আবেদনকারী সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী গাজী মো. জাহাঙ্গীর হোসেন তারা। পরে গত ২৫ জুন এ টিকিটের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন তিনি।

তিন বছর আগে ২০১৯ সালে টার্মিনাল ফি (প্রবেশ মূল্য) ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করলে তা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আবু তালেব। প্রাথমকি শুনানির পর ওই বছর ৩ নভেম্বর রুল জারি করেছিলেন। 

টার্মিনালে প্রবেশের ফি ৫ টাকা থেকে বাড়িয়ে ১০ টাকা নির্ধারণ করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের দাপ্তরিক আদেশ কেন বেআইনি এবং অসাংবিদানিক ঘোষণা করা হবে না, জানতে চাওয়া হয় রুলে।

এ রুলটি বিচারাধীন বলে কালের কণ্ঠকে জানান রিটকারী আইনজীবী মো. আবু তালেব।

LEAVE A REPLY