ফাইল ছবি
রেলযাত্রীদের ট্রেনে আরোহণ ও অবতরণের সুবিধার জন্য প্ল্যাটফরমের উচ্চতা বাড়ানোর কার্যক্রম চলছে বলে সংসদকে জানিয়েছেন রেলমন্ত্রী মো. নূরুল ইসলাম সুজন। তিনি জানান, প্লাটফরমের উচ্চতা বাড়ানোর পাশাপাশি প্রতিবন্ধীদের জন্য স্টেশনগুলোতে হুইলচেয়ার ও র্যাম্প রাখা হচ্ছে। বিনা টিকিটের যাত্রী যাতে স্টেশন বা ট্রেনে প্রবেশ করতে না পারে সে জন্য বড় স্টেশনগুলোতে ফেন্সিং নির্মাণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার সংসদ অধিবেশনে লিখিত প্রশ্নোত্তরে তিনি এ সকল তথ্য জানান।
সরকারি দলের সংসদ সদস্য এম আব্দুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরো জানান, পরিকল্পনা অনুযায়ী সকল জেলা স্টেশনগুলো পর্যায়ক্রমে রিমডেলিং করা হবে।
নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, ‘স্টেশনে ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার স্থাপন করা হয়েছে। নারীদের জন্য আলাদা কাউন্টার, কোচ সংরক্ষণ ও স্বতন্ত্র টয়লেট স্থাপন করা হয়েছে। এ ছাড়া ট্রেনের অভ্যন্তরে মানসম্মত খাবার সরবরাহ নিশ্চিত করা হচ্ছে ও ট্রেনে যাত্রীদের অনবোর্ড সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।
ফলে যাত্রীদের ভ্রমণ আরামদায়ক ও নিরাপদ হচ্ছে।’
একই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়েতে বর্তমানে বিভিন্ন শ্রেণিতে প্রায় ২০ হাজার শূন্য পদ রয়েছে। রেলওয়েতে গত ৯ মাসে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দুই হাজার ৮৮০ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। জনবল সংকট দূর করার লক্ষ্যে নিয়োগ প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
আশা করা যাচ্ছে দ্রুতই জনবল সংকট নিরসন হবে।’
মন্ত্রী নূরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ রেলওয়ে আন্তঃনগর ট্রেনগুলোর সেবার মান বাড়ানোর জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। গত পাঁচ বছরে ১৩০টি নতুন ব্রড গেজ কোচ, ২৫৮টি মিটার গেজ কোচ, ৩০টি মিটার গেজ এবং ২৫টি ব্রড গেজ লোকোমোটিভ রেলবহরে যুক্ত করা হয়েছে। আরো ৮৯টি মিটার গেজ কোচ, ২২০টি ব্রড গেজ কোচ এবং ৭৫টি মিটার গেজ লাগেজ ভ্যান, ৫০টি ব্রড গেজ লাগেজ ভ্যান, ৫৮০টি মিটার গেজ ওয়াগন, ৪২০টি ব্রড গেজ ওয়াগন ও ১৫টি ব্রড গেজ লোকোমোটিভ সংগ্রহ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।’