নাটকের প্রিয়মুখ তানজিন তিশা। তার নাটকগুলো মূলত ভালোবাসাকেন্দ্রিক। সম্প্রতি নারীকেন্দ্রিক বেশ কয়েকটি নাটকে দেখা গেছে এ অভিনেত্রীকে। এর মধ্যে রয়েছে ‘পুতুলের সংসার’, ‘আই অ্যাম ডিভোর্সড’ ও ‘শরবত’। এ তিনটি নাটকের গল্পই নারীপ্রধান। প্রতিটি নাটকের জন্যই বেশ প্রশংসা পেয়েছেন এ অভিনেত্রী।
পুতুলের সংসার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এ নাটক নিয়ে একটু দ্বিধাদ্বন্দ্বে ছিলাম, দর্শক কীভাবে নেবেন সেটা ভেবে। কারণ এটি আমার জন্য চ্যালেঞ্জিং কাজ ছিল। তবে দর্শকদের কাছ থেকে অনেক অনেক প্রশংসা পাচ্ছি। কেউ ফোন দিচ্ছেন আবার কেউ বা মেসেজ দিয়ে নিজেদের ভালোলাগার কথা জানাচ্ছেন। কাজটি করা আমার জন্য সহজ ছিল না, অনেক চ্যালেঞ্জিং ছিল। সবার কাছে ভালো লেগেছে, মনে হচ্ছে কষ্ট সার্থক।’
অন্য দুটি নাটক নিয়েও দর্শকদের ভালোবাসার কথা জানিয়েছেন এ অভিনেত্রী। তিনি বলেন, ‘নারীকেন্দ্রিক গল্পের প্রতি দুর্বলতা অনেক আগে থেকেই। কারণ আমাদের দেশে নারীদের নিয়ে কাজ করা হয় কম। তাই এ ধরনের গল্পে কাজ করার ভালোলাগাটাও অন্যরকম। ভবিষ্যতেও নারীকেন্দ্রিক গল্পের কাজ প্রাধান্য দেব।’
নারীকেন্দ্রিক গল্পের বাইরের নাটকেও তানজিন তিশার প্রশংসা পঞ্চমুখ দর্শকরা। তার প্রমাণ সদ্য প্রকাশিত ‘কলিজার আধখান’ নামে একটি নাটক। এতে সন্তান না হওয়া এক দম্পতির গল্প বলা হয়েছে। সেই সঙ্গে রয়েছে সামাজিক বার্তাও। মুহাম্মদ মিফতাহ আনান পরিচালিত নাটকটি সম্প্রতি একটি ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়েছে। ট্রেন্ডিংয়েও এগিয়ে আছে এটি। এ নাটকে তিশার সহশিল্পী মুশফিক আর ফারহান।
এ নাটক প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘অনেক বছর ধরে অভিনয় করছি। দর্শক আমার কাজ পছন্দও করছে। তাই এটা আমার দায়িত্ব যেন তাদের ভালো কিছু দিতে পারি। সে জন্যও গল্প এবং চরিত্রের প্রতি এখন বেশি নজর দেই। এ নাটকের ক্ষেত্রেও তাই। এটা শুধু দর্শকদের বিনোদন দেবে না, কিছুটা হলেও তাদের ভাবাবে।’
এদিকে, নিজ কর্মক্ষেত্রে অসামান্য অবদান রাখায় কিছুদিন আগে জুনিয়র চেম্বার ইন্টারন্যাশনাল (জেসিআই) কর্তৃক ‘উইমেন অব ইন্সপিরেশন’ সম্মাননা পেয়েছেন এ অভিনেত্রী। এ প্রাপ্তি প্রসঙ্গে তিশা বলেন, ‘এই সম্মাননা সত্যিকার অর্থেই নারীদের নিজ নিজ কর্মক্ষেত্রে আরও ভালো কিছু করতে উৎসাহিত করবে।’