১২২ রানের ইনিংসে ৩৮ সিঙ্গেল, ১৫ ডাবলস!

৪৭তম ওয়ানডে সেঞ্চুরির পর ‘কিং’ কোহলির উদযাপন।

বয়স ৩৫ ছুঁই ছুঁই; বহু ক্রিকেটারের ক্যারিয়ার এ বয়সেই শেষ হয়ে যায়। অনেকে অবসরের দিন গুনতে থাকেন। এর ব্যতিক্রমও আছে। সেই বিরল ব্যতিক্রম ক্রিকেটারদের একজন বিরাট কোহলি।

যিনি গতকাল পাকিস্তানের বিপক্ষে ৯৪ বলে অপরাজিত ১২২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস উপহার দিয়েছেন। বিশ্বের যেকোনো ব্যাটারের জন্যই কোহলির ইনিংসটা হতে পারে আদর্শ। কিন্তু কেন? সেদিকেই নজর দেওয়া যাক।

ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মার বিদায়ের পর বিরাট কোহলি উইকেটে আসেন।

এর পরপরই আউট হয়ে যান অপর ওপেনার শুভমান গিল। বেশ চাপ নিয়েই দেখেশুনে কোহলি তার ইনিংস শুরু করেন। আরেক অপরাজিত সেঞ্চুরিয়ান লোকেশ রাহুলের (১১১) সঙ্গে জমে ওঠে জুটি। মাঝের ওভারগুলোতে পাকিস্তানি বোলাররা দারুণ বোলিং করছিলেন।

কোহলি ফিফটি পূরণ করেন ৫৫ বলে, বাউন্ডারি মাত্র চারটি। এরপর সময় যতই গড়িয়েছে, ততই বেড়েছে ‘কিং’ কোহলির ব্যাটের ধার।

পরের ৫০ করেছেন ২৯ বলে। ৮৪ বলে সেঞ্চুরি পূরণ করা কোহলি মোট করেছেন ৯৪ বলে ১২২ রান। বাউন্ডারি ১২টি, ওভার বাউন্ডারি তিনটি।

এর মাঝে দুটি আবার শেষ দুই বলে। আশ্চর্য ব্যাপার হলো, এই ১২২ রানের মধ্যে ৬৮ রানই কোহলি নিয়েছেন সিঙ্গেলস আর ডাবলস থেকে! ক্যারিয়ারের ৪৭তম সেঞ্চুরির ইনিংসে কোহলি সিঙ্গেলস নিয়েছেন ৩৮টি আর ডাবলস নিয়েছেন ১৫টি! ৩৫ ছুঁই ছুঁই বয়সের একজন ক্রিকেটার কিভাবে রানিং বিটুইন দ্য উইকেটে এতটা সফল, সেটার জবাবও সবার জানা।

বিরাট কোহলি হলেন বিশ্বের অন্যতম ফিট ক্রিকেটার। নিজের ফিটনেসের জন্য অনেক ভোগবিলাস ত্যাগ করেছেন। যার প্রভাব দেখা যায় মাঠে। এ কারণেই কোহলির ইনিংসটি একটা আদর্শ ওয়ানডে ইনিংস। দেখেশুনে ইনিংস গড়ে তারপর পাল্টা আক্রমণ। বাংলাদেশের ক্রিকেটে সবচেয়ে বড় সমস্যাগুলোর একটি হলো দৌড়ে রান নিতে না পারা। কোহলির মতো বয়সের একজন ক্রিকেটার যদি এতগুলো সিঙ্গেলস-ডাবলস নিতে পারেন, তাহলে বাংলাদেশের তরুণ ব্যাটাররা কেন পারেন না? এই প্রশ্নের জবাব দেবে কে?

LEAVE A REPLY