যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কসহ আরো ছয়টি গন্তব্যে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি চেয়ে আবেদন করেছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। সম্প্রতি নতুনভাবে যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক বিমানবন্দরে ফ্লাইট পরিচালনার অনুমোদন চেয়ে আবেদন করেছে বিমান। ‘ফরেন এয়ার ক্যারিয়ার’ আবেদনটি যুক্তরাষ্ট্রের ডিপার্টমেন্ট অব ট্রান্সপোর্টেশনে (ডিওটি) জমা দেওয়া হয়েছে। বিমানের পক্ষে ডিওটিতে আবেদন করেন বিমানের অ্যাটর্নি (নিয়োগপ্রাপ্ত আইনজীবী) রবার্ট ডাব্লিউ জনসন।
এসব রুটে বোয়িং ৭৮৭-৯ ড্রিমলাইনার উড়োজাহাজ দিয়ে ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায় বিমান। এটি টানা সাত হাজার ৯০০ মাইল উড়তে সক্ষম। তার পরও বিমান রিফুয়েলিংয়ের জন্য তুরস্কে যাত্রাবিরতি দেবে।
যুক্তরাষ্ট্রের যেকোনো বিমানবন্দরে বাংলাদেশের ফ্লাইট পরিচালনার অন্যতম অন্তরায় হচ্ছে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরকে ‘লেভেল-১ সেফটি রেটিংয়ে উত্তীর্ণ’ করতে না পারা।
বাংলাদেশের বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) যখন যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এফএএ) রেটিংসহ সব শর্ত পূরণ করবে, শুধু তখনই ফ্লাইট পরিচালনার অনুমতি দেওয়া হবে। এফএএ এবং বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচকের) মধ্যে চলমান অডিটে উত্তীর্ণ হলে এই অনুমোদন পাওয়া যাবে।
আগামী ডিসেম্বর নাগাদ নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালুর আশা করছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মফিদুর রহমান। তিনি বলেছেন, ‘কভিডের কারণে কিছুটা পিছিয়েছে এই প্রক্রিয়া।তবে আমি এ বছরের শেষে নিউ ইয়র্ক ফ্লাইট চালুর বিষয়ে আশাবাদী।’ সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম অক্টোবরের মধ্যে নিউ ইয়র্কে ফ্লাইট চালু করতে। তবে ফ্লাইটের অনুমতির ক্ষেত্রে এয়ারলাইনস প্রতিষ্ঠানকে আবেদন করতে হয়। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস সময়মতো আবেদন না করায় প্রক্রিয়াটা পিছিয়ে গেছে। আমরা বিমানকে লিখিতভাবে জানিয়েছি এ বিষয়টি।
’
১৬৯ পাতার আবেদনপত্রে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস জানিয়েছে, বর্তমানে তারা ঢাকা থেকে নিউ ইয়র্ক রুটে সরাসরি সপ্তাহে পাঁচটি ফ্লাইট পরিচালনা করতে চায়। মাঝে তুরস্কের ইজমির আদনান মেনদেরেস বিমানবন্দরে এক ঘণ্টার যাত্রাবিরতি দিয়ে জেট ফুয়েল নেওয়া হবে।