বাংলাদেশের দারুণ বোলিং সামলে শুভমানের সেঞ্চুরি

শুভমান গিলের সেঞ্চুরি উদযাপন। ছবি : এএফপি

বাংলাদেশের দারুণ বোলিং সামলে অনেকটাই ঘুরে দাঁড়িয়েছে ভারত। সেঞ্চুরি তুলে নিয়েছেন তরুণ ওপেনার শুভমান গিল। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভারতের সংগ্রহ ৪১.২ ওভারে ৬ উইকেটে ১৯৭ রান। জয়ের জন্য তাদের আরও ৫২ বলে ৬৯ রান প্রয়োজন।

রান তাড়ায় নেমে অভিষিক্ত পেসার তানজিম সাকিবের তোপের মুখে পড়ে ভারত। ইনিংসের দ্বিতীয় বৈধ বলেই ভারত অধিনায়ক রোহিত শর্মাকে (০) এনামুলের তালুবন্দি করেন তানজিম। ফিরতি ওভারে এসেই তিনে নামা তিলক ভার্মাকে (৫) বোল্ড করে দেন এই পেসার। ১৭ রানে দুই উইকেট হারানোর পর অপর ওপেনার শুভমান গিল এবং লোকেশ রাহুল হাল ধরেন।

এই দুজনের ৫৭ রানের জুটি ভাঙে মেহেদি মিরাজের বলে লেকেশ রাহুল (১৯) আউট হওয়ায়। নতুন ব্যাটার ইশান কিশানকে (৫) লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলেন মিরাজ। রিভিউ নিয়ে্ বাঁচতে পারেননি ইশান। ৩৩তম ওভারে নিজের প্রথম শিকার ধরেন সাকিব।

২৬ রান করে বোল্ড হয়ে যান সূর্যকুমার যাদব। ভাঙে ৪৫ রানের আরেকটি জুটি। মুস্তাফিজের বলে বোল্ড হয়ে যান রবীন্দ্র জাদেজা (৭)। কিন্তু একপ্রান্ত আগলে রাখা ওপেনার শুভমানের সেঞ্চুরি আটকানো যায়নি। ১১৭ বলে ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি তুলে নেন এই তরুণ।

এর আগে কলম্বোর আর প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে ৮ উইকেটে ২৬৫ রান তোলে বাংলাদেশ। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই দুই ওপেনার লিটন দাস (০) এবং তানজিদ তামিম (১৩) আউট হয়ে যান। শার্দুল ঠাকুরের শিকার হওয়ার আগে প্রথমবার টুর্নামেন্টে সুযোগ পাওয়া এনামুল হক বিজয় ১১ বলে ৪ রানের বেশি করতে পারেননি। দ্রুত তিন উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান এবং মেহেদি মিরাজ। ১৩ রান করে মিরাজ আউট হলে সাকিবের সঙ্গী হন তাওহীদ হৃদয়। দুজনের জুটি একশ ছাড়াতেই ছন্দপতন। চার বছর ধরে ওয়ানডে সেঞ্চুরি অপেক্ষায় থাকা সাকিব শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হয়ে যান।

বাংলাদেশ অধিনায়কের ৮৫ বলে ৮০ রানের ইনিংসে ছিল ৬টি চার এবং ৩টি ছক্কার মার। সাত নম্বরে নেমে শামীম পাটোয়ারী ১ রান করে রবীন্দ্র জাদেজার বলে এলবিডাব্লিউ হয়ে যান। তাওহীদ হৃদীয় আউট হন ৮১ বলে ৫৪ রান করে। তার ইনিংসে ছিল ৫ চার ২ ছক্কা। শেষদিকে নাসুম আহমেদ ৪৫ বলে ৬ চার ১ ছক্কায় ৪৪ এবং শেখ মেহেদি ২৩ বলে ৩ চারে অপরাজিত ২৯* রানের ইনিংস খেললে নির্ধারিত ৫০ ওভারে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৮ উইকেটে ২৬৫ রান। ভারতের শার্দুল ঠাকুর ৬৫ রানে নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ শামি নিয়েছেন ৩২ রানে ২টি।

LEAVE A REPLY