‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি এরই মধ্যে ৪০ কোটি টাকার ওপর আয় করেছে বলে সিনেমাসংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে। তবে ডিপজল দাবি করলেন, সিনেমাটি খুব বেশি হলে দুই কোটি টাকা লাভ করেছে। এ ছাড়াও শাকিবের পারিশ্রমিক সর্বোচ্চ ২৫ লাখ টাকা হওয়া উচিত।
সাভারের নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের উপস্থিতিতে এমন মন্তব্য করেন আলোচিত এই অভিনেতা।
ডিপজল বলেন, ‘ফিল্ম বাজার তৈরি করো, তারপর এক কোটি, দুই কোটি চাও। ফিল্ম বাজারই ৫০-৬০ লাখ। আমার সঙ্গে চুক্তি করুক যে ১০ কোটি টাকা লাভ হবে, তাহলে আমি পাঁচ কোটি টাকা দেব। ওইটা চাপাবাজি।
বাংলাদেশের কোনো প্রযোজক, কোনো পরিচালক এক কোটি টাকা নিতে পারে না।’
তিনি বলেন, “এক কোটি টাকার আর্টিস্ট বাংলাদেশে জন্ম হবে, আগে ফিল্ম বাজার ঠিক করো। তারপর এক কোটি, দুই কোটি চাও। এক কোটি টাকা ডিমান্ড করলেই তো হবে না।
হ্যাঁ, ডিমান্ড করা যাবে। যদি টাকা ওঠে। আমার ছবি ‘কোটি টাকার কাবিন’, ‘চাচ্চু’, লাভ করছে। কিছুদিন আগে শাকিবের একটা ছবি লাভ করছে। অত লাভ না, এক কোটি, দেড় কোটি, বড়জোর দুই কোটি টাকা হবে।
”
শাকিব খান অভিনীত ‘প্রিয়তমা’ সিনেমাটি ৪০ কোটির ওপরে আয় করেছে, গণমাধ্যমকর্মীর এমন প্রসঙ্গ উত্থাপনে ডিপজল বলেন, ‘টাকা যদি প্রেসে ছাপায় তাইলে হইতে পারে। মালয়েশিয়ায় ছবিটা তো আমার ডিস্ট্রিবিউশন থেকে গেছে, কত টাকা দিয়ে গেছে আমি জানি। কোন সিনেমা হল থেকে কত গেছে, আপনারা দেখলে তো বুঝতে পারেন। হাইয়েস্ট হলে এক কোটি, দেড় কোটি, দুই কোটি টাকা কামাইতে পারে।’
চাচ্চু খ্যাত এই অভিনেতা বলেন, ‘একসময় আমরাও ছিলাম সুপারস্টার, ডিপজল মানেই ফিল্ম হিট। কই আমরা তো টাকা বাড়াইনি। আমরা ফিল্ম কিভাবে উঠবে সেইটা করার চেষ্টা করছি। আমি যে কত রাত জাগছি তা বলতে পারব না। আমি প্রতিদিন পাঁচ ছবি, ছয় ছবিতে কাজ করছি। কই আমি তো টাকার দিকে দৌড়াই নাই। আমার এখন পর্যন্ত একটা ছবিও ফ্লপ নাই।’
শাকিব খানের পারিশ্রমিক এক কোটি চাওয়ার বিষয়টিকে সমালোচনা করে বলেন, ‘ওর এখন এক কোটি কেন, ৫০ লাখও না, ওর এখন চাওয়া উচিত ২৫ লাখ টাকা। সর্বোচ্চ। তাও অনেক বেশি বলছি। এতে ছবির বাজার ভালো হবে, দর্শক ছবি দেখবে। এমন তো এক কোটি টাকা নিয়ে উল্টায় ফেলবে। আমি ১০ কোটি টাক দেব, যদি আমাকে পাঁচ কোটি টাকা ও লাভ দিতে পারে।’