সন্তানদের ঘরে ফেরাতে আইনি পদক্ষেপ সোফির

জো জোনাস ও সোফি টার্নার

চার বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন হলিউড তারকা সোফি টার্নার এবং গায়ক জো জোনাস। তবে দুজনের কলহ এখনো থামেনি। বরং সামনে বেশ দীর্ঘস্থায়ী আইনি লড়াইয়ের আভাস পাওয়া যাচ্ছে এই জুটির মধ্যে।

সিএনএন-এর প্রতিবেদন অনুসারে, প্রাপ্ত আদালতের নথি অনুযায়ী ‘গেম অফ থ্রোনস’ তারকা তার প্রাক্তন স্বামী জোনাসকে তাদের সন্তানদের ইংল্যান্ডে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে দেওয়ার অনুরোধ জানিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করেছিলেন।

বৃহস্পতিবার নিউইয়র্ক সিটিতে এই পিটিশন দায়ের করেন সোফি।

পিটিশনে তাদের সন্তানদের ইংল্যান্ডে তাদের অভ্যাসগত বাসস্থান থেকে নিউ ইয়র্ক সিটিতে ভুলভাবে ধরে রাখার বিষয়টি উল্লেখ করা হয়েছে। কারণ ২০২৩ সালের এপ্রিলে ইংল্যান্ডকে তাদের স্থায়ী’ নিবাস হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল।

1
বাচ্চাদের সঙ্গে সোফি-জোনাস (পূর্বের ছবি)

পিটিশনে উল্লেখ করা হয়েছে, জোনাস তার ব্যান্ড ‘দ্য জোনাস ব্রাদার্স’-এর সাথে সফরের সময় তার দুই মেয়েকে সঙ্গে নিয়েছিলেন কারণ টার্নার একটি নতুন সিরিজের প্রযোজনায় ব্যস্ত ছিলেন।

তাই উভয়ের সম্মতিতেই বাচ্চাদের জোনাসের সঙ্গে সফরে নিয়ে যাওয়া হয়। টার্নার এই মাসে বাচ্চাদের সাথে ইংল্যান্ডে ফিরে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন কিন্তু তিনি গত সপ্তাহে জোনাসের কাছ থেকে তাদের পাসপোর্ট নিতে গেলে জোনাস তা দিতে রাজি হননি।

জোনাসের প্রতিনিধি বৃহস্পতিবার একটি বিবৃতিতে সিএনএনকে বলেছেন, “জো এবং সোফি গত রবিবার নিউইয়র্কে একটি সৌহার্দ্যপূর্ণ বৈঠক করেছিলেন, যখন সোফি বাচ্চাদের সাথে থাকতে নিউইয়র্কে এসেছিলেন। সেই সাক্ষাতের পর থেকে বাচ্চারা তার সাথে রয়েছে।

মিটিং সম্পর্কে জো এর ধারণা ছিল যে তারা একটি বোঝাপড়ায় পৌঁছেছে যে তারা একটি বন্ধুত্বপূর্ণ অভিভাবক হিসেবে বাচ্চাদের ভবিষ্যতের জন্য একসাথে কাজ করবে। জোনাসের ইচ্ছা হল সোফি তার কঠোর আইনি অবস্থান পুনর্বিবেচনা করবে। তার একমাত্র উদ্বেগ তার সন্তানদের ভবিষ্যত। তিনি সন্তানদের মঙ্গল ও সর্বোচ্চ সুন্দর ভবিষ্যত চান।”

জোনাসের প্রতিনিধি জানান, জোনাস বাচ্চাদের ভালোর জন্য শেয়ার করা অভিভাবকত্ব চাইছেন যাতে তারা তাদের মা এবং বাবা উভয়ের মাধ্যমেই বড় হয়।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং যুক্তরাজ্যে বাচ্চাদের বেড়ে ওঠার ক্ষেত্রেও ঠিক তার আপত্তি নেই। তাদের শিশুরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে জন্মগ্রহণ করেছে এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে তাদের জীবনের বিশাল অংশ কাটিয়েছে। তারা আমেরিকান নাগরিক।”

বিয়ের চার বছর পর ৫ সেপ্টেম্বর জোনাস টার্নারের সাথে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেন। টার্নার তার পিটিশনে আরও দাবি করেছেন যে জোনাস মিডিয়ার মাধ্যমে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন। তবে জোনাসের প্রতিনিধি এই দাবির বিরোধিতা করে বলেছেন, টার্নার আগে থেকেই সচেতন ছিলেন যে জোনাস বিবাহবিচ্ছেদের জন্য ফাইল করতে চলেছেন। 

সূত্র : পিপল ডটকম

LEAVE A REPLY