বিচ্ছেদ জো-সোফির, কার জিম্মায় থাকছে দুই মেয়ে?

চার বছরের দাম্পত্য জীবনের ইতি টেনেছেন হলিউড তারকা দম্পতি জো জোনাস ও সোফি টার্নার। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা দেন তারা। 

তবে বিচ্ছেদের কয়েক মাস আগেই তারা ইংল্যান্ডে স্থায়ীভাবে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিলেন। তাদের দুটি সন্তানকে লালন-পালনের জন্য সোফি তার জন্মস্থান ইংল্যান্ডে একটি স্থায়ী বাড়ি তৈরির চিন্তা করেছিলেন। পরে সন্তানদের নিয়েও বিস্তর টানাটানি চলে জো ও সোফির মধ্যে। 

এদিকে চার বছর আগে একবার নয়, দুবার একে অপরের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছিলেন জো এবং সোফি। তিক্ততার কারণেই নাকি বিবাহবিচ্ছেদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন জো। তবে তাদের এই বিচ্ছেদে সবচেয়ে বেশি বিপাকে পড়েছে তাদের দুই কন্যা। 

বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়ার মধ্যেই সন্তানদের নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হয় জো ও সোফির মধ্যে। কয়েক দিন আগে শোনা গিয়েছিল, দুই সন্তানকে আটকে রাখার অভিযোগে জোয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেন সোফি।  

সেখানে দুই সন্তান কোথায় থাকবে এ নিয়ে শুরু হয় দ্বন্দ্ব। পরে আদালত সিদ্ধান্ত দেয়। সেই সিদ্ধান্ত সম্মতি জানিয়েছেন সাবেক এ যুগল। 

আপাতত আমেরিকার নিউইয়র্ক ও তার আশপাশেই জো ও সোফির দুই সন্তানকে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন আদালত। 

নিউইয়র্ক সিটি, লং আইল্যান্ড, হাডসন ভ্যালির মতো কোনো একটি জায়গায় থাকতে পারে তারা। এই নির্দেশ অমান্য করলে সন্তানদের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কড়া পদক্ষেপ করতে পারেন আদালত, সেই হুশিয়ারিও এখন থেকেই দিয়ে রেখেছেন বিচারক। 

এমনকি পরিস্থিতি বিবেচনা করে জো ও সোফির থেকে সন্তানদের দূরে রাখার সিদ্ধান্তও নিতে পারেন আদালত বলে জানা গেছে। 

২০১৯ সালে বিয়ের পরে ২০২০ সালে প্রথম কন্যাসন্তানের জন্ম দেন সোফি। তার পরে ২০২২ সালে সাবেক দম্পতির কোলে আসে দ্বিতীয় কন্যাসন্তান। বিচ্ছেদের পর দুই সন্তান কার কাছে থাকবে, তাই নিয়ে ঝামেলা শুরু হয় জো ও সোফির মধ্যে। 

জো আমেরিকার নাগরিক হলেও সোফি আদতে ইংল্যান্ডের বাসিন্দা। জোয়ের সঙ্গে বিয়ের পর সোফি আমেরিকায় এলেও বারবার দেশের টানে ইংল্যান্ডে ফিরেছেন। 

তার দুই মেয়ে ইংল্যান্ডে বড় হোক এমনটাই চান সোফি। এদিকে জো নাছোড়বান্দা। তার দাবি দুই সন্তানের জন্ম আমেরিকায়। আমেরিকান নাগরিক হিসেবে তারা সেখানেই বড় হবে, এ যুক্তিতে চাপ দিতে থাকেন জো। 

LEAVE A REPLY