২০২০ সালে পাকিস্তান জাতীয় দলে অভিষেক হারিস রউফের। এরপর আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি এই পেস বোলারের। বল হাতে হয়ে উঠেছেন পাকিস্তানের অন্যতম কাণ্ডারি। অভিষেকের পর ওয়ানডে ক্রিকেটে ২৮ ম্যাচ খেলে উইকেট নিয়েছেন ৫৪টি।
ভারতে অনুষ্ঠেয় বিশ্বকাপেও যে কজন পেস বোলারকে হিসেবে রাখা হচ্ছে তাদের মধ্যে অন্যতম একজন এই রউফ।
কিন্তু কয়েকবছর আগেও রউফের জীবন ছিল সংগ্রামের। রাওয়ালপিন্ডিতে টেপ টেনিস খেলে বেড়াতেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচ মেটাতে গিয়েই ক্রিকেট খেলছেন এই পাকিস্তানি পেসার।
ইএসপিএনক্রিকইনফোর ডকুমেন্টারিতে নিজের জীবনের গল্প শুনিয়েছেন রউফ,‘প্রতি রবিবার আমি বাজারে খাবার বিক্রি করতাম। যখন বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হই, আমার খরচ বহন করার মতো অর্থ বাবা উপার্জন করতেন না। এমনকি আমিও পারছিলাম না। তাই টেপ টেনিস ক্রিকেট খেলে আমি খুব সহজেই পড়ালেখার খরচ জোগাড় করতাম।
’
২০১৭ সালে পিএসএলের দল লাহোর কালান্দার্সের ট্রায়ালে অংশ নেন রউফ। সেখানে সবচেয়ে বেশি ঘন্টায় ৯০ মাইল গতিতে বল করে টিকে যান তিনি। ট্রায়ালের পর যান অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানে বিগ ব্যাশের অন্যতম সেরা দল মেলবোর্ন স্টার্সের হয়ে খেলার সুযোগ আসে তাঁর। ওই একই সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় সিরিজ খেলতে গিয়েছিল ভারত।
গতির সঙ্গে বলে সুইংয়ের মিশেল থাকায় রউফকে ভারতের নেট বোলার হিসেবে ডেকে পাঠানো হয়। সেসময় বিরাট কোহলিকে নেটে বল করেন রউফ। ডকুমেন্টারিতে সেসবও শুনিয়েছেন তিনি,‘ভারতীয় দলের নেটে এসেই বিরাট কোহলিকে বোলিং করার সুযোগ পেয়েছিলাম। আমার বিপক্ষে খেলার জন্য সে মুখিয়ে ছিল। প্রতিটা বল খুব মন দিয়ে খেলছিল। বেশ কিছু ডেলিভারি ভালো জায়গায় থাকলেও, কোহলি অনায়াসে মোকাবেলা করছিল। তার প্যাশন দেখে মনে হচ্ছিল, আমরা যেন একে অপরের বিপক্ষে ম্যাচ খেলছি।’ হারিস রউফের এরপরের গল্প তো সবারই জানা। জীবন সংগ্রামের গল্পে জয়ী ২৯ বছরের রউফের চ্যালেঞ্জ এখন বিশ্বকাপেও নিজেকে মেলে ধরা। ক্রিকইনফো