সংগৃহীত ছবি
‘ইসরায়েলের ভূখণ্ডে কয়েক মিনিট আগে গুলি চালানোর’ পরে লেবাননে আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী এ কথা বলেছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষাবাহিনী বলেছে, ইসরায়েলের ভূখণ্ডে লেবানন থেকে কিছুক্ষণ আগে গুলি চালানোর পর থেকে তারা লেবাননে আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে।
এর আগে লেবানন থেকে ইসরায়েলে হামলা চালানো হয়েছে।
এমনকি লেবানন থেকে ছোড়া মর্টার শেল আঘাত হেনেছে ইসরায়েলের সামরিক স্থাপনায়। আজ রবিবার লেবানন থেকে ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলের দিকে মর্টার শেল ছোড়ার খবর দিয়েছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর রেডিও। লেবানন থেকে ছোড়া সেই গোলা শেবা ফার্মসে অবস্থিত ইসরায়েলি সামরিক স্থাপনায় আঘাত হেনেছে বলে তিনটি নিরাপত্তা সূত্রের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে।
ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী (আইডিএফ) জানিয়েছে, ‘লেবাননের যেখান থেকে এসব গোলা নিক্ষেপ করা হয়েছে সেই এলাকায় পাল্টা আর্টিলারি হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল।
‘ইসরায়েলি সশস্ত্র বাহিনী বর্তমানে লেবাননের সেই এলাকায় আক্রমণ করছে, যেখান থেকে গোলাবর্ষণ করা হয়েছিল। আইডিএফ এই ধরনের আক্রমণের জন্য প্রস্তুতিমূলক ব্যবস্থা নিচ্ছে এবং ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য সমস্ত অঞ্চলে এবং প্রয়োজনে যেকোনো সময়ে কাজ চালিয়ে যাবে।’
ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবাননের কাফার শুবার আশপাশের এলাকা লক্ষ্য করে আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে। তবে ইসরায়েলি কামানের গোলাবর্ষণের পর লেবাননের পক্ষে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে গাজার সরকারি কর্মকর্তারা বলছেন, গাজায় নিহত মানুষের সংখ্যা ২৩০-এরও বেশি। আহত হয়েছে আরো এক হাজার। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অবরুদ্ধ গাজার সাতটি এলাকার বাসিন্দাদের ঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে সরে যেতে বলেছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেছেন, কয়েক ডজন পরিবার তাদের বাড়িঘর ছেড়ে জাতিসংঘ পরিচালিত স্কুলে আশ্রয় নিতে শুরু করেছে। এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বনেতারা সংযমের আহ্বান জানালেও, অনেক পর্যবেক্ষক ধারণা করছেন, গাজায় বড়সড় হামলার ঘটনা ঘটতে পারে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে (সাবেক টুইটার) গাজাবাসী ইসরায়েলের বিমান হামলার বর্ণনা দিয়েছেন। তারা বলছেন, ইসরায়েল নির্বিচারে হামলা চালাচ্ছে।
আলজাজিরা বলছে, গাজার বাসিন্দারা অন্ধকার ও অনিশ্চয়তার মধ্যে রাত কাটিয়েছে। কারণ ইসরায়েল এই অঞ্চলে বিদ্যুৎ লাইন কেটে দিয়েছে। এই অন্ধকারের মধ্যেই তীব্র বোমাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। গাজার একটি ১৪ তলা ভবনেও হামলা চালানো হয়েছে। এই ভবনটিতে হামাসের কার্যালয় রয়েছে।
এদিকে হামাসের পলিটিক্যাল ব্যুরোর ডেপুটি চিফ সালেহ আল-আরোরি আলজাজিরাকে বলেছেন, হামাস ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তাসহ বিপুলসংখ্যক ইসরায়েলিকে বন্দি করে রেখেছে। ইসরায়েলি জেলে থাকা সব ফিলিস্তিনিকে মুক্ত করতে হামাসের কাছে পর্যাপ্ত ইসরায়েলি বন্দি রয়েছে।
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর বরাত দিয়ে বিবিসি বলেছে, ‘উল্লেখযোগ্যসংখ্যক’ ইসরায়েলি বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্য হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছে।
জেরুজালেম পোস্টের সামরিক বিশ্লেষক ইয়োনাহ জেরেমি বব বলেছেন, এক বা দুই দিনের মধ্যে ইসরায়েলের বিশাল শক্তি দেখাবে। গাজায় হামাস বাহিনীকে পরাস্ত করতে সক্ষম হবে তারা।
সূত্র : বিবিসি, আলজাজিরা।